মিলিয়ন ডলারের দুর্নীতির সব অভিযোগেই দোষী নাজিব রাজাক

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে মিলিয়ন মিলিয়ন মার্কিন ডলার দুর্নীতির দায়ে আনা সাতটি অভিযোগের সবগুলোতেই প্রথম বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি।

এর আগে বিশ্বাসভঙ্গ, অর্থ পাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে তিনি দোষী না বলে আত্মপক্ষে বলেছিলেন।

এই মামলাটিকে মালয়েশিয়ার আইনের শাসন এবং দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টার পরীক্ষা হিসাবে দেখা হচ্ছে।মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় তহবিল ওয়ানএমডিবি স্ক্যান্ডাল একটি বৈশ্বিক দুর্নীতির জাল উন্মুক্ত করেছে।

বিচারক মোহামাদ নাজলান মোহামাদ গাজালী কুয়ালালামপুর হাইকোর্টকে বলেন, এই বিচারের সমস্ত প্রমাণ বিবেচনা করে দেখতে পেয়েছি প্রসিকিউশন তার মামলাটি যুক্তিসঙ্গত সন্দেহের বাইরে সফলভাবে প্রমাণ করেছেন।

২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন নাজিব রাজাক। তার বিরুদ্ধে ২০১৫ রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন বিনিয়োগ তহবিল ১এমডিবি’র ৭০ কোটি মার্কিন ডলার সরিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। নাজিবের গঠিত ওই তহবিল থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া ওই অর্থের কোনো হিসেবও পাওয়া যায়নি। ক্ষমতায় থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত হয়নি।

২০১৮ সালের ৯ মে’র সাধারণ নির্বাচনে মাহাথির মোহাম্মদের কাছে হেরে যাওয়ার ক’দিন পর থেকেই নাজিবের বিরুদ্ধে নতুন করে দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়।

প্রথমে তদন্তের স্বার্থে নাজিব ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে মালয়েশিয়ার ভ্রমণ কর্তৃপক্ষ। এরপর তার বাসভবনে হঠাৎ করেই তল্লাশি চালায় পুলিশ। তল্লাশিতে মোটা অংকের বৈদেশিক মুদ্রা এবং বিপুল পরিমাণ বিলাসবহুল পণ্য জব্দ করার কথা জানানো হয়।

সর্বশেষ ওই বছরের জুনের শেষদিকে পুলিশ জানায়, অভিযান চালিয়ে নাজিব রাজাকের বাড়ি থেকে ২৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের জুয়েলারি সামগ্রী আটক করা হয়েছে। আটকের তালিকায় বিপুল পরিমাণ গহনা, হাতব্যাগ ও নগদ টাকা ছিল।

অভিযোগনাজিব রাজাকপ্রধানমন্ত্রীমালয়েশিয়া