দুই সপ্তাহের মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকের স্থগিত হওয়া পরীক্ষার সম্ভাবনা

প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় অগ্রণী ব্যাংকের নিয়োগের প্রাথমিক বাছাইয়ের (প্রিলিমিনারী) বিকেলের শিফটের পরীক্ষা স্থগিত করা হলেও সকালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বাতিল করা হচ্ছে না। এছাড়া বিকেলের শিফটের স্থগিত হওয়া এই পরীক্ষা আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

অগ্রণী ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু তালেব শনিবার দুপুরে চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সকালের শিফটের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের কাছে যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত নেই বলে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয়বার পরীক্ষা নিতে হলে নতুন করে ব্যয় করার চিন্তা থেকেও প্রশাসন সকালের পরীক্ষা বাতিল করছে না।

অধ্যাপক আবু তালেব জানান, এত বিশাল সংখ্যার পরীক্ষার্থীদের পুনরায় পরীক্ষা নেয়াটা একটি জটিল প্রক্রিয়া। আর সকালের শিফটে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে এমন পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত আমরা পাইনি। তাই সকালের পরীক্ষা বহাল থাকবে। খুব শীঘ্রই স্থগিতকৃত পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। তখন সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে।

শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে অগ্রণী ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার সকালের পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার পর পরীক্ষার্থীরা এই পরীক্ষা নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন। আগের দিন প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় বলে অভিযোগ ওঠে। প্রথমে হাতে লেখা ও পরে প্রিন্টেড প্রশ্নের কপি পাওয়া যায়। অনেক জায়গায় শুধু উত্তরও পাওয়া যায়।

এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিকালের শিফটের পরীক্ষা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সকালের পরীক্ষা বাতিলের দাবি উঠলেও সে বিষয়টি কানে তোলা হয়নি।

একই অভিযোগে বিকালের পরীক্ষা স্থগিত হলে সকালের পরীক্ষা কেন বাতিল হবে না এমন প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, লাখো শিক্ষার্থীর জীবন নিয়ে এরকম আচরণ কোন ভাবেই কাম্য নয়।

এর আগেও এসএসসি, এইচএসসি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন ধরনের চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। একমাস আগে জনতা ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায়ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায়।

অগ্রণী ব্যাকনিয়োগ পরীক্ষাপ্রশ্নপত্র ফাঁস