দুই ‘প্রথম’ সেঞ্চুরিতে তিনশ পেরোনো বোঝার চাপে বাংলাদেশ

পেস-সুইংয়ে বাজিমাত করে রুবেল-তাসকিন শুরুতে যে সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে শেষঅবধি সেটি ধরে রাখতে পরেনি বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে তাই ৩১৯ রান করতে হবে সফরকারীদের।

ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ৩১৮ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। ডেভন কনওয়ে ১২৬ ও ড্যারেল মিচেল অপরাজিত ১০০ রানে টাইগারদের লক্ষ্যটা তিনশ পেরিয়ে নেন। দুজনেরই এটি প্রথম ওয়ানডে শতক।

টানা তৃতীয় ওয়ানডেতে টসে হেরেছেন তামিম। গত দুম্যাচে ব্যাটে ডাক পড়লেও এবার শুরুতে বোলিংয়ের আমন্ত্রণ পান। উইকেটে এসে পেস আক্রমণে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। সঙ্গে ক্যাচ হাতছাড়া, রানআউটের সুযোগ হাতছাড়া ও বাজে ফিল্ডিংও দেখিয়েছে!

এক হেনরি নিকোলসকেই দুবার রানআউট করতে পারেনি বাংলাদেশ। চতুর্থ ওভারে মিডঅফে তার ক্যাচ নিতে মাহমুদউল্লাহ। অষ্টম ওভারে কিউই ওপেনারের ক্যাচ ছাড়েন মুশফিক।

নিকোলস (১৮) অবশ্য বিপদের কারণ হতে পারেননি। লিটনের ক্যাচ বানিয়ে সাফল্য আনার শুরুটা করেন তাসকিন। ড্রাইভ করতে গিয়ে কিউই ওপেনার গালিতে ক্যাচ দিলে ভাঙে ৪৪ রানের উদ্বোধনী জুটি।

তারপর রুবেলের জোড়া ধাক্কা। আরেক ওপেনার গাপটিল (২৬) ও একাদশে ফেরা অভিজ্ঞ টেলরকে (৭) সাজঘরের পথ দেখান টাইগার পেসার। স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে পুল করতে যেয়ে মিডঅনে লিটনের দ্বিতীয় ক্যাচ হন গাপটিল। টেলরের ক্যাচ ছেড়েছিলেন মোস্তাফিজ। খানিক পরে স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে মুশফিকের গ্লাভসে জমা পড়েন তিনি।

গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান টম ল্যাথাম উইকেটে জেঁকে বসার আগেই মিরাজের উড়ন্ত এক দর্শনীয় ক্যাচে পরিণত হন। ৭ রান করা কিউই অধিনায়কের উইকেট তুলেছেন সৌম্য সরকার।

এরপর ড্যারেল মিচেলকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন ডেভন কনওয়ে। দুজনে ১৫৯ রানের জুটি গড়েছেন। দুজনেই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি।

এই সিরিজেই অভিষিক্ত ২৯ বছর বয়সী বাঁহাতি কনওয়ে তৃতীয় ওয়ানডেতে এসে পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। ১৭ চারে ১১০ বলে ১২৬ রানের ইনিংস খেলে ফিরেছেন। মোস্তাফিজের বলে যখন বদলি ফিল্ডার আফিফের ক্যাচ হন, ততক্ষণে দলকে বিপদমুক্ত করে ফেলেছেন কনওয়ে।

এরপর ম্যাচে লিটনের তৃতীয় ক্যাচ বানিয়ে জেমস নিশামকে (৪) ফিরিয়ে তৃতীয় সাফল্য তুলে নেন রুবেল। কিন্তু মিচেল থেকে যান বিপদ হয়ে, দ্রুতলয়ে তুলতে থাকেন রান। ২৯ বছর বয়সী ডানহাতি মিচেলেরও এই সিরিজেই অভিষেক, তারও প্রথম সেঞ্চুরি ওঠে, আগে ছিল না ফফটিও। ৯ চার ২ ছয়ে ৯২ বলে ঠিক ১০০ করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

রুবেল ৩ উইকেট নিলেও খরচ করেছেন ৭০ রান। তাসকিনের ১ উইকেট নিতে খরচ ৫২ রান। ৮৭ রান দিয়ে কোনো উইকেটের দেখা পাননি মোস্তাফিজ। সৌম্য ৮ ওভারে ৩৭ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট।

তামিমতাসকিনমিঠুনরুবেললিড স্পোর্টসসৌম্য