চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন মৌসুমে দুঃস্বপ্নের শুরু করল গতবারের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। মঙ্গলবার ‘ই’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে নাপোলির কাছে ০-২ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে ‘দ্য অল রেডস’। ম্যাচ হেরে অবশ্য ভিএআর-এর সমালোচনায় লিভারপুল কোচ ইয়ূর্গেন ক্লপ।
সান পাওলো স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৮২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে নাপোলিকে এগিয়ে দেন মেটেন্স। তারপর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান বাড়িয়ে স্বাগতিকদের জয় নিশ্চিত করেন ফার্নান্ডো লরেন্তো। ২ অক্টোবর অ্যানফিল্ডে ফিরতি লড়াইয়ে নামবে লিভারপুল।
নাপোলির মাঠে টানা দ্বিতীয়বার হারল লিভারপুল। কারণ, গত বছর সান পাওলোতে ০-১ ব্যবধানে হেরেছিল অলরেডরা।এদিন ম্যাচের সপ্তম মিনিটে আদ্রিয়ান রুইজের প্রচেষ্টা লিভারপুল গোলরক্ষক ফিরিয়ে দেয়ার পর অবশ্য হেডে গোল করেছিলেন লোজানো৷ কিন্তু রেফারি অফ-সাইডের বাঁশি বাজালে হতাশ হন নাপোলি সমর্থকরা৷
ম্যাচের ২৪ মিনিটে নাপোলি গোলরক্ষকের প্রথম পরীক্ষা নেয় প্রিমিয়ার লিগে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে শীর্ষে থাকা লিভারপুল। জর্ডান হেন্ডারসনের বাড়ানো বল ধরে সাদিও মানে শট নিলেও তাতে জোর ছিল না। ফলে কর্নারের বিনিময়ে আটকে দেন নাপোলি গোলরক্ষক।
ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষদিকে লিভারপুলের তারকা ফরোয়ার্ড সালাহ’র দূরপাল্লার শট পোস্টের বেশ বাইরে দিয়ে যায়। এরপর রবের্তো ফিরমিনোর হেডও বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মারিওর ক্রসে লাফিয়ে উঠে ড্রিস মের্টেন্স পা-ছোঁয়ানোর পর বল আদ্রিয়ানের গ্লাভসে লেগে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে গেলে বেঁচে যায় লিভারপুল। ৫৬ মিনিটে পাল্টা-আক্রমণ থেকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নষ্ট করে লিভারপুল। সাদিও মানে ডি-বক্সের বাঁদিকে সালাহকে ক্রস বাড়ালেও, বলের গতি বেশি থাকায় মিশরের ফরোয়ার্ড নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি।
পরে ৬৫ মিনিটে ডিফেন্ডারের ভুলে পাওয়া বলে সালাহ শট নিলে তা ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান নাপোলি গোলরক্ষক। একটুপর ফিরমিনোর ফিরতি পাস থেকে মানের শট জমে যায় গোলরক্ষকের গ্লাভসে। একাধিক সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি লিভারপুল।
ম্যাচ হেরে লিভারপুল ম্যানেজার ক্লপ বলছেন, ‘ম্যাচে আমরা ১-০ পিছিয়ে পড়েছিলাম। এটা মেনে নেয়া যায়। যদিও নাপোলির বিরুদ্ধে আমাদের ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল। আমরা জঘন্য ফুটবল খেলেছি। আমরা কোনো গোল করতে পারিনি। অন্তত আমার এক পয়েন্টও পাওয়া উচিত ছিল। আমরা সেটা পারিনি পেনাল্টির জন্য। আমি নিশ্চিত এটা পেনাল্টি ছিল না।’
‘এফ’ গ্রুপের দুটি ম্যাচই মঙ্গলবার ড্র হয়। নিজেদের মাঠে ইন্টার মিলান ১-১ এ ড্র করে স্লাভিয়া প্রাহার বিরুদ্ধে। আর বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠ থেকে গোলশূন্য ম্যাচ শেষ করে বার্সেলোনা। ‘এইচ’ গ্রুপের নিজেদের মাঠে লিলেকে ৩-০ গোলে হারায় আয়াক্স। তবে স্টামফোর্ড ব্রিজে অর্থাৎ, ঘরের মাঠে ভ্যালেন্সিয়ার কাছে ১-০তে হেরে ইউরোপ সেরার লড়াই শুরু করেছে চেলসি।