লকডাউনের পরবর্তী তিনমাসে সিনেমা হল এবং শুটিং বন্ধ থাকায় বলিউডের অবস্থা ছিল নাজুক। জুনে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু যেন কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়েছে। নানা বিতর্কে এখন বিধ্বস্ত বলিউড।
একের পর এক তারকার নাম জড়াচ্ছে মাদককাণ্ডে। দীপিকা, সারা, শ্রদ্ধাদের ছিল হাই ব্র্যান্ড ভ্যালু। তারাই এখন প্রশ্নবিদ্ধ। তাদেরকে বয়কট করার ডাক দেয়া হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, বলিউডের ব্র্যান্ড ভ্যালু কি কমে যাচ্ছে তাহলে?
ব্র্যান্ড এন্ডোর্সমেন্টের ক্ষেত্রে তারকাদের ইমেজ, ফ্যান –ফলোয়ারের সংখ্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেই চার নায়িকার নাম মাদককাণ্ডে জড়িয়েছে, তাদের প্রত্যেকের হাতেই আছে দেশি-বিদেশি লম্বা এনডোর্সমেন্টের তালিকা। ইন্ডাস্ট্রি বিশেষজ্ঞ এবং ব্র্যান্ড প্লেসমেন্ট এজেন্সিগুলো মনে করছে, নায়িকাদের মাদক মামলায় জড়ানোর বিরূপ প্রভাব পড়বে তাদের ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্টের ক্ষেত্রে।
ধারণা করা হচ্ছে, অনেক ব্র্যান্ডই তাদের চুক্তি বাড়াবে না এই নায়িকাদের সঙ্গে। নতুন কোনো কোম্পানিও এই তারকাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার আগে দ্বিতীয়বার ভেবে নেবে।
গুরগাঁয়ের একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডিং এজেন্সির মালিক মনিষ ভাট এর মতে, তারকাদেরকে সবসময়েই নজরদারিতে থাকতে হয়। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের সব কাজের বিচার করেন নেটিজেনরা। তারকাদের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাব অবশ্যই জনপ্রিয়তার বিনিময়ে যেই অর্থ তারা কামান, তার ওপর পড়ে। তাই ব্র্যান্ডগুলোর এই তারকাদের সঙ্গে নতুন কোনো চুক্তিতে না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
তবে বিপরীতটাও ভাবছেন অনেকে। স্টার্ক র্যাভিং অ্যাড-এর অ্যাডভার্টাইজিং প্রফেশনাল এবং লেখক ঋতু সিং মনে করেন, তারকাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু কমে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ এখনও তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
তরুণদের জন্য ‘আদর্শ’ যাদেরকে মনে করা হয়, সাধারণত তাদের সাথেই চুক্তিবদ্ধ হয় ব্র্যান্ডগুলো। মাদক কেলেঙ্কারিকে যাদের নাম জড়িয়েছে, তারা আপাতত ব্র্যান্ড ভ্যালু হারাতে পারেন। তবে সময়ের সাথে সাথে সব ঠিক হয়ে যায়।
আমির খান, সঞ্জয় দত্ত, সালমান খানের মতো তারকাও একসময় নানা বিতর্কে জড়িয়ে ব্র্যান্ড ভ্যালু হারিয়েছিলেন। আবার ফিরেছেন, সম্মান পেয়েছেন।