দায়িত্ব অবহেলায় সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানো নেটিশ

নিয়মিত শিক্ষক না আসা কুড়িগ্রাম সদরের সেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দু’টির দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন, জেলার সব শিক্ষকদের চিঠি দিয়ে আরো সচেতন ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রাম সদরের জনতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষার্থীরা এখানে শিক্ষকের জন্য অপেক্ষায় থাকেন। শিক্ষকরা আসেন শ্রেনী কার্যক্রম শুরুও অনেক পরে। পাশের চর কুড়িগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও সেই একই চিত্র।

গত ১৬ ও ১৭ আগস্ট চ্যানেল আইতে এই দু’টি স্কুল নিয়ে রিপোর্ট প্রচারের পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্থানীয় শিক্ষা অফিস শিক্ষকদের সচেতন হতে চিঠি দেয়। বিদ্যালয় দু’টির দায়িত্বে থাকা এটিও মোহাম্মদ লুৎফর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।

কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার এনামুল হক বলেন, দুটি জাতীয়করণ বিদ্যালয়, একটি বিদ্যালয় বেতন পেয়ে থাকে অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাতীয়করণ হয়নি বলে তারা বেতন পায় না। চ্যানেল আইয়ের রিপোর্টার দু’টি বিদ্যালয় নিয়ে প্রতিবেদন করেছিলেন ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে বিদ্যালয় কার্যক্রম যথাসময়ে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তারা শুরু করেননি। এরপরই সংশ্লিষ্ট সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছ থেকে ব্যাখ্যা পেয়েছি।

রিপোর্ট প্রচারের পর থেকে স্থানীয় শিক্ষকরা নির্দিষ্ট সময়েই স্কুলে আসেন। কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বলেন, টেকসই মনিটরিং ব্যবস্থা না করে শুধু জাতীয়করণ করেই শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীদের নিয়মিত করানো যায় না।

কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, শিক্ষকরা এখানে নিরুপায় হয়ে চাকরি করছে বলে তারা মন-প্রাণ শিক্ষা প্রদান করছেন না। যার জন্য শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্কুল দু’টির শিক্ষকদের অনিয়মের কারণে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকেও মন্ত্রণালয় থেকে সতর্ক করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম