দলের মানুষ কাছের মানুষ

শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন

১৯৮৬ সালের কথা, শেখ হাসিনা তখন রাজশাহীতে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত। এই সময়ে তার কাছে খবর এলো প্রবীণ ও নিবেদিত কর্মী এবং ঈশ্বরদী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মারা গেছেন।

শেখ হাসিনা তাকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন, তার বাসভবনেও গেছেন। নির্বাচনী প্রচারণা স্থগিত রেখে তিনি ট্রেনে চেপে বসলেন। ঈশ্বরদী স্টেশনে নেমে জানলেন মৃতদেহ গোরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি সরাসরি গোরস্থানে চলে যান। মৃতদেহ ততক্ষণে দাফন হয়ে গেছে। তিনি কবর জিয়ারত করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা জানাতে কবরস্থানের কাছেই বাড়িতে যান। শেখ হাসিনাকে কাছে পেয়ে বাড়ির নারীরা তাকে জড়িয়ে ধরে নতুন করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি তাদেরকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য নিজের মা-বাবা,ভাই-ভাবী ও ছোট্ট রাসেলেকে হারাবার কথা জানালে সমস্ত বাড়িতে নতুন করে কান্নার রোল ওঠে। উপস্থিতদের কেউই চোখের পানি সংবরণ করতে পারে না।

দুপুর গড়িয়ে গেছে, বাড়ির কর্ত্রী খেতে বসতে অনুরোধ করলেন। শেখ হাসিনা বললেন, শোকের বাড়িতে রান্না-বান্না করল কে?

বাড়ির পুত্রবধূ জানাল, বাড়িতে রান্না-বান্না হয়নি,প্রতিবেশী ও আত্মীয় বাড়ি থেকে খাবার এসেছে।
পথে কিছু খাওয়া হয়নি, শেখ হাসিনার ক্ষুধা লেগেছে। তিনি এ বাড়িতে আগেও খেয়েছেন। টেবিলে দেখলেন গরম ভাত, ডাল, মাছ, ভাজি তার জন্য দেওয়া হয়েছে। হাতমুখ ধুয়ে তিনি খাওয়ার টেবিলে বসলেন। বাড়ির মেয়ে ও বৌমা পরিবেশন করলো নিজের মানুষের মত। এবং বিলম্ব হলেও তৃপ্তি সহকারে দুপুরের আহার শেষ করলেন শেখ হাসিনা।

শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যরা নেত্রীকে তাদের অতি আপনজন মনে করে সান্ত্বনা পেল।

চিত্র পরিচিতি: (১) থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি জনাব তোজাম আলীর বাঁ পাশে শেখ হাসিনা (২) হাত ধোয়ার সময়ে শেখ হাসিনা এবং (৩) শোক সন্তপ্ত পরিবারের নারী সদস্যদের সঙ্গে শেখ হাসিনা।

এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাশেখ হাসিনাশেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিনশেখ হাসিনার জন্মদিন