মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি, সিলেটের সুরমা উপজেলা, কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চারজন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পৃথক এসব ঘটনা ঘটে।
এদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে মুন্সিগঞ্জে আবুল হোসেন (৫০), সিলেটে শহীদ মিয়া এবং কক্সবাজারের টেকনাফে নজির আহমদ প্রকাশ নজির ডাকাত (৩৮) ও আব্দুল আমি (৩৫) নামে মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি তথ্য মতে, মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৮ মামলার আসামি আবুল হোসেন (৫০) নিহত হয়েছেন।
র্যাবের -১১ নারায়ণগঞ্জের উপ পরিচালক মেজর আশিক বিল্লাহ জানান, টঙ্গীবাড়ি উপজেলার সোনারং এলাকায় আবুল হোসেন তার বাহিনীর ৪/৫ জন সদস্য নিয়ে মিটিং করছিল।
তারা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুঁড়লে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এ ঘটনায় আবুল হোসেনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় টঙ্গীবাড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের মরদেহ টঙ্গীবাড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাজার বাইপাস এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে তালিকাভুক্ত মাদক সম্রাট শহীদ মিয়া নিহত হয়েছে। পরে নিহতের লাশ সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাংয়ের হারিয়াখালী বেড়িবাঁধ এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নজির আহমদ প্রকাশ নজির এবং আব্দুল আমি এলাকার তালিকাভুক্ত ডাকাত এবং মাদক ব্যবসায়ী ছিল। সকালে অভিযানে পুলিশ তাদের আস্তানায় গেলে সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্তে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এ সময় এ অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমানে পিস্তল, ম্যাগাজিন, ইয়াবা, নগদ টাকা ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।