তাই বলে এমন বোলিং!

সিলেট থেকে: টি-টুয়েন্টিতে ১২৯ রান খুবই ছোট সংগ্রহ। তবে দেড়শর কাছাকাছি পুঁজি নিয়ে জয়ের ঘটনাও আছে অসংখ্য। শুরুর বিপর্যয়ের পর ওই সংগ্রহটা জয়ের আশা দেখায়নি হয়ত, তবে কিছুটা লড়াই অন্তত হতে পারত। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকরাও তেমন প্রত্যাশাই করে থাকবে। টাইগাররা বল হাতে নিতেই সব আশা উধাও। দেখতে হয় উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের ছক্কা-ঝড়। ১০.৫ ওভারেই ম্যাচ শেষ!

প্রত্যাশিত পুঁজি না পাওয়ার দিনে বাংলাদেশের বোলিংটা হয়েছে খুবই বাজে। ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের উইকেট নিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়া অফস্পিনার মিরাজ ২ ওভারে দিয়েছেন ৩৭ রান। পাননি কোনো উইকেট। বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনি এক ওভার বোলিং করে দিয়েছেন ১৫ রান। মোস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন একটি করে ওভারে রান দিয়েছে যথাক্রমে ১৫ ও ১৩ করে।

মূল বোলারদের মধ্যে একটু কম খরুচে ছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এ বাঁহাতি স্পিনার ৩.৫ ওভারে দেন ৩২ রান। সবার থেকে ভালো বোলিং করেছেন পার্টটাইমার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এ অফস্পিনার ২ ওভারে দিয়েছেন ১৩ রান। নিয়েছেন ২২ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচটা একপেশে করে দেয়া শাই হোপের উইকেট।

প্রথম টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হতাশা আরও বড় হয় পরের নির্বিষ বোলিংয়ে। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সংবাদ সম্মেলনে আসেননি। আসেন ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি। ব্যাটিং ভালো না হওয়ার ব্যাখ্যায় জানালেন, উইকেটের বাউন্স ও উইন্ডিজ পেসারদের গতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারাই কারণ। সঙ্গে বোলারদের দোষারোপ না করে উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের শক্তির জায়গাতেও নজর রাখতে বলেছেন।

‘বোলাররা আজ নিজেদের ছায়া হয়ে ছিল। ১২৯ রানে আটকাতে হলে প্রয়োজন ছিল দ্রুত উইকেট তোলা। বোলিং নিয়ে আমি খুব বেশিকিছু বলতে পারব না। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের শক্তিটাই আজ দেখিয়েছে। হোপ ওয়ানডেতে ব্যাক-টু-ব্যাক সেঞ্চুরি করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় দ্রুত ফিফটি পূর্ণ করেছে(১৬ বলে)। আমাদের বোলারদের কাছ থেকে রান আদায় করে নিয়েছে। সবাই হয়ত দেখেছে অসাধারণ স্ট্রোক খেলার ক্ষমতা তাদের ব্যাটসম্যানদের রয়েছে।’

‘টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে ১২৯ রান যথেষ্ট নয়। আমি বলবো দিনটি আমাদের ছিল না। জুতসই একটি পরিকল্পনা সাজিয়ে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে।’ এভাবেই বললেন সাদা বলের ক্রিকেটে টাইগারদের ব্যাটিং কোচ ম্যাকেঞ্জি।

লিড স্পোর্টস