রাজধানীর কুর্মিটোলায় ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীর মামলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার রাতে মামলাটি হস্তান্তর করা হয়।
আসামি শনাক্তে প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। গুলশান বিভাগের ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবতী জানান, ঘটনা তদন্তে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
অন্যদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার মেয়েটির শারীরিক অবস্থা সোমবারের চেয়ে ভালো। মনোচিকিৎসকরাও তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা চাইলে আগামী ২/১ দিনের মধ্যে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে বলেও জানান ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক।
সোমবার ওই শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় ৭ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিতে চেষ্টা চলছে বলেও ওই সময় জানানো হয়।
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ঢাবির নিজস্ব বাসে রওনা দেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন।
এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে।
ধর্ষণের এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢামেকে আসেন। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।