সরকারের কোনো সংস্থা কারো কথা শোনে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ এবং গাজীপুরের মেয়ররা। বিশ্বব্যাংকের আয়োজনে, ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে করণীয় বিষয়ে আলোচনায় এলজিইডি এবং গণপূর্ত মন্ত্রী বলেছেন, ঢাকায় ৬৬ শতাংশ ভবন রাজউকের নকশা না মেনে কিংবা কোনো নকশা ছাড়াই তৈরি হয়।
ঢাকা, বাসযোগ্য নয়-এমন নগরের তালিকায় তৃতীয়। এর চেয়ে খারাপ কেবল যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক এবং নাইজেরিয়ার লাগোস। ঢাকার এ অবস্থার কারণ হিসেবে বিশ্বব্যাংক বলছে, ৮ লাখ রিকশাচালক বাস করেন। প্রতি বছর ঢাকা ৩৫৮ হেক্টর জলাশয় হারায়। ১২ বছরে গাড়ি বেড়েছে ১৬ গুণ। ট্রাফিক জ্যামে প্রতিদিন ৯ হাজার কর্মঘণ্টা হারাচ্ছেন মানুষ। যেখানে একজন মানুষের হাঁটার গতি ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার, সেখানে ঢাকায় গাড়ি চলে গড়ে ৬ কিলোমিটার গতিতে। ঢাকায় দিনে উৎপাদন হওয়ায় ৬ হাজার টন গৃহস্থালী বর্জ্যর ভেতর ২ হাজার টন রাস্তায় পড়ে থাকে।
মেয়রদের হতাশ না হয়ে দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হওয়ার পরামর্শ বিশ্বব্যাংকের বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন।
নীতি নির্ধারকেরা আশার কথা শোনালেন বটে, তবে আশস্ত করতে পারলেন কি?
আলোচকরা বলেছেন, মোট জিডিপি’র ৩৬ শতাংশ আসে ঢাকা থেকে। তার মানে এই না যে, গোটা দেশ বাদ দিয়ে শুধু ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের গবেষণায় ঢাকার বাসযোগ্যতা হারানোর কারণ ৮ লাখ রিকশাচালকের বাস
বছরে ৩৫৮ হেক্টর জলাশয় ধ্বংস। ১২ বছরে গাড়ি বেড়েছে ১৬ গুণ। প্রতিদিন ট্রাফিক জ্যামে হারায় ৯ হাজার কর্মঘণ্টা।
দিনে উৎপাদন হওয়া ৬ হাজার টন গৃহস্থালী বর্জ্যরে মধ্যে ২ হাজার টন রাস্তায় পড়ে থাকে
স্বাভাবিক হাঁটার গতি ঘণ্টায় ৫ কি.মি., ঢাকায় গাড়ি চলে ৬ কি.মি.।