ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা: কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ

ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা এবং সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিবেদন দেখে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়।

আদালতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

হাইকোর্ট আজ তার আদেশে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজের নেতৃত্বে দুই সদস্যের কমিটি করে এবছরের ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মশা নির্মূলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।

কমিটির অন্য সদস্য করা হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিবের সমান পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে। এই কমিটিকে মশা নির্মূলে ত্রুটি-বিচ্যুতি ও দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি এই ধরনের (ডেঙ্গু-চিকনগুনিয়ার ভয়াবহতার) পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি রোধে কী করণীয়, সে ব্যাপারেও সুপারিশ করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া কমিটি চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীট-তত্ত্ব বিভাগ, আইসিডিডিআরবি, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্ল্যান্ট প্রটেকশন উইংয়ের বিশেষজ্ঞদের মতামত নিতে পারবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক শুরু হলে গত ৪ জুলাই এক স্বতঃপ্রণোদিত আদেশে ঢাকা সিটিতে ডেঙ্গু-চিকনগুনিয়াসহ এডিস মশা নির্মূল ও ধ্বংসে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট।

এরপর কয়েক দফা এ নিয়ে হাইকোর্টে শুনানি হয় এবং আদালত বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়।সর্বশেষ গত ৬ নভেম্বর আদালত ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও সরকারকে ডেঙ্গুর সর্বশেষ পরিস্থিতি, ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলে। সে অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আদালতে প্রতিবেদন দেয়। সেসব প্রতিবেদন দেখে আজ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

এডিস মশাচিকনগুনিয়াডেঙ্গু