ডিসেম্বরে পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে ইসির সংশয়

অধ্যাদেশ নয়, আইন করে দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে যে কোনো দিন হবে এ নির্বাচন। তবে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে আইন না হলে ডিসেম্বরে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

অধ্যাদেশ জারী করে দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব আয়োজন শেষ হলেও এখন বলা হচ্ছে আইন জারী করেই হবে পৌরসভা নির্বাচন। নিত্যনতুন আইনী জটিলতার কারণে অদৌ ডিসেম্বরে পৌরসভা নির্বাচন করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে টেনশনে নির্বাচন কমিশন।

২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার পরিকল্পনা থাকলেও আইনী জটিলতায় সেই সময় থেকে সরে আসতে হচ্ছে ইসিকে। তবে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে আইন পাস ও বিধিমালা হয়ে গেলে যেভাবেই হোক ডিসেম্বরের শেষে নির্বাচন করতে প্রস্তুত ইসি।

নির্বাচন কমিশনার ব্রি.জে. জাভেদ আলী জানান, এটা করতে মধ্য নভেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। সব মিলিয়ে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

তবে নির্বাচনী প্রচারণায় মন্ত্রীদের অংশ নেওয়ার বিষয়ে সরকারের আপত্তি থাকলেও ইসি চাইছে মন্ত্রী, উপ-মন্ত্রীরা সরকারী সুযোগ সুবিধা না নিয়ে প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করুক ।

নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা তখনই যৌক্তিক যখন প্রচারণায় শীর্ষ নেতারা থাকে। সরকারি প্রটোকল বাদে যে কেউ প্রচারণা চালালে অসুবিধা নেই। কিন্তু সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করা যাবে না।

পৌরসভা নির্বাচনে শুধুমাত্র মেয়র প্রার্থীদের জন্য দলীয় প্রতীক থাকবে। আর কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে আইনে এমন বিধান রাখা হচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনস্থানীয় নির্বাচনস্থানীয় সরকার নির্বাচন