টেস্ট-স্বস্তির দিনে লিডের পথে বাংলাদেশ

রাহি-নাঈমরা ঠিকঠাকই করেছেন নিজেদের কাজটা। আড়াইশর আশপাশে আটকে দিয়েছেন জিম্বাবুয়েকে। ভয়টা ছিল ব্যাটসম্যানদের নিয়ে! টেস্টে বিবর্ণ গত বছরটাতে যারা উইকেট ছুঁড়ে আসার মিছিল গড়ে ডুবিয়েছেন অনেকবার। মিরপুরে তেমনকিছু হয়নি। টেস্টকে টেস্টের মতো করে খেলার এক স্বস্তির দিনে শান্ত-মুমিনুলের ব্যাটে লিডের পথে আছে বাংলাদেশ।

শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে রোববার জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে অলআউট করে দিয়েছে বাংলাদেশ। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেটে ২৪০ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে। আর ২৫ রান করলেই লিড নিতে শুরু করবে টাইগাররা।

জিম্বাবুয়ে-২৬৫, বাংলাদেশ-২৪০/৩ (দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে)

সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে অপরাজিত থাকা মুমিনুল হক ৭৯ ও মুশফিকুর রহিম ৩২ রানে তৃতীয় দিন শুরু করবেন। দুজনে জুটিতে ৬৮ রান তুলে অবিচ্ছিন্ন আছেন।

তার আগের গল্পটা শান্ত ও তামিমের ব্যাটে। তামিম ইকবাল ১০ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ৫ রানে অপরাজিত থেকে মধ্যাহ্ন বিরতির পর নেমেছিলেন। চা বিরতিতে যাওয়ার সময় শান্তর পাশে প্রথম টেস্ট ফিফটি। তামিম অবশ্য হাতছাড়া করেছেন। দুজনে ৭৮ রানের জুটি গড়েছেন।

ব্যাটিংয়ে নেমে স্বাগতিকরা অবশ্য লাঞ্চ বিরতির আগেই হারিয়ে বসে ওপেনার সাইফ হাসানকে। পাকিস্তানের মাটিতে অভিষিক্ত সাইফ টানা তৃতীয় ইনিংসে সম্ভাবনার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেননি।

রোববার বাউন্ডারিতে রানের খাতা খোলার পর কেবল ৮ রানে থেমেছে সাইফের দুই বাউন্ডারিতে ১২ বলের ইনিংস। নায়াউচির অফস্টাম্পের বাইরের বলটি ডানহাতি টাইগারের ব্যাটের কানায় চুমু দিয়ে উইকেটের পেছনে চাকাভার গ্লাভসে জমা পড়ে।

সেখান থেকে তামিম-শান্তর জমে যাওয়া জুটি। ৪১ করে তামিমের বিদায়ে ভাঙে যেটি। ৭ চারে ৮৯ বলের ইনিংস বাঁহাতি ওপেনারের। শান্ত থেমেছেন ৭১ করে। ৭ চারে ১৩৯ বলে টেস্ট-ধৈর্যের ইনিংস তার।

সকালের ঘটনা আরও মধুর। ৯৯ বল, ৩৭ রান, সোয়া এক ঘণ্টা। মিরপুর টেস্টে দ্বিতীয় দিনে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে দিতে এসময়টুকুই নিয়েছে টাইগাররা। ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ক্রিজে এসেছিল দলটি।

রোববার দিনের শুরুর ঘণ্টায় ছিল আগেরদিনের শেষ সেশনের ধারাবাহিকতা। তাতে ২৬৫ রানে অলআউট জিম্বাবুয়ে। আগেরদিনই ৪ উইকেট নেয়া নাঈম হাসানের সঙ্গে আবু জায়েদ রাহির পাশেও যোগ হয়েছে ৪ উইকেট। বাকি দুই উইকেট বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের।

তামিমনাঈমবাংলাদেশ ক্রিকেট দলরাহিলিড স্পোর্টসশান্তসাইফ