কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হাবিব উল্লাহ নামের এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি, সে একজন চিহ্নিত ডাকাত।
এ ঘটনায় আহত হয়েছে পুলিশের ৩ সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে ২ টি দেশীয় তৈরি বন্দুক এবং ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে নয়াপাড়ার মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাবিব উল্লাহ মোচনী ক্যাম্পের আলী আহমদের পুত্র।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শনিবার রাত পৌনে ১০ টার দিকে জাদিমোরা শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশের পাহাড়ে ডাকাতের প্রস্তুতির খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ডাকাত দল গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি করলে ডাকাতরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে হাবিব উল্লাহকে আটক করা হয়।
পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তি মতে রাত সাড়ে ১২ টায় নয়াপাড়া মোচনী ক্যাম্পের পাশের পাহাড়ে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারে যায়। ওখানে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে দ্বিতীয় দফায় গুলি করে। এতে পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এসময় পুলিশের এসআই সুজিত দে, এসআই মশিউর ও কনস্টবল নাজিম আহত হন। গুলিবিদ্ধ হয় হাবিব উল্লাহ।
এদের উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান শেষে হাবিব উল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে ওখানে তার মৃত্যু হয়। তার মৃতদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
ওসি জানান, নিহত হাবিব উল্লাহ একজন চিহ্নিত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে ৬টির বেশি মামলা রয়েছে।