টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা ডাকাত দম্পতি’ নিহত

৩ পুলিশ আহত, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা ডাকাত দম্পতি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার ভোরে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

নিহতরা হলেন, টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃত কাদের হোসেনের ছেলে দিল মোহাম্মদ এবং তার স্ত্রী জাহেদা বেগম।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই নিজাম উদ্দিন, কনস্টেবল সুদর্শন দাশ ও শাহাদাত হোসেন।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহতরা চিহ্নিত ডাকাত এবং সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য। ডাকাতিসহ নানা অপরাধে জড়িত অভিযোগে টেকনাফ থানায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

ওসি প্রদীপ বলেন, শনিবার রাতে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য দিল মোহাম্মদ ও তার স্ত্রী জাহেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মতে লেদা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় মোহাম্মদ শফিউল্লাহ নামের ডাকাত দলের আরেক সদস্য অস্ত্রসহ অবস্থান করছে খবরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে তাদের সহযোগীরা গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে।

‘এক পর্যায়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে দিল মোহাম্মদ ও জাহেদা বেগমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এতে পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়। ঘটনাস্থলে তল্লাশী করে পাওয়া যায় ২টি দেশিয় বন্দুক, ১১টি গুলি ও কয়েকটি গুলির খালি খোসা।’

ওসি বলেন, আহতদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ ২ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

প্রদীপ জানান, নিহতরা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। এ রোহিঙ্গা দম্পতি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য। তারা ডাকাত দল গড়ে তোলে লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশের বিভিন্ন হত্যা, অপহরণ, ডাকাতি ও মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধ সংঘটন করত। এসব অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তারা পলাতক ছিল।

নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান ওসি।

বন্দুকযুদ্ধরোহিঙ্গারোহিঙ্গা ডাকাত