টাঙ্গাইল ও লক্ষ্মীপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

র‌্যাব ও পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ টাঙ্গাইল ও লক্ষ্মীপুরে ৩ জন নিহত
হয়েছে। এদের মধ্যে টাঙ্গাইলে মারা গেছে দু’জন এবং লক্ষ্মীপুরে একজন।

টাঙ্গাইলে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সর্বহারা গ্রুপ পূর্ব বাংলা
কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক প্রধান ফজলু ড্রাইভার (৩৮) ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী উজ্জ্বল (৩০) নিহত হয়।

আর লক্ষ্মীপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতিসহ মোট ছয় মামলার আসামী আবু কাউসার (৩০) নিহত হয়েছে।

টাঙ্গাইল র‌্যাব-১২ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী (সিপিসি-৩) এর কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে যায় র‌্যাবের একটি দল। ওই সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে ৭/৮ জনের সর্বহারা দলের সদস্যরা। র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে।

দু’পক্ষের মধ্যে ২০-২৫ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা হয় ফজলু ও তার সহযোগী উজ্জ্বল। এ সময় মোহাম্মদ আলী ও নুরুজ্জামান নামের দুই র‌্যাব সদস্য আহত হন।

গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে ফজলুর অন্য সহযোগীরা পালিয়ে যায় বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। পরে ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশী রিভালভার, ১টি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ৭ রাউন্ড গুলি এবং ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

নিহতদের মৃতদেহ টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। আহত দুই র‌্যাব সদস্যকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত ফজলু পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক প্রধান বলে দাবি করেছে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় প্রায় ২০ টি হত্যা মামলা রয়েছে বলেও জানান মহিউদ্দিন ফারুকী।

অন্যদিকে লক্ষ্মীপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অস্ত্র ও ডাকাতিসহ মোট ছয় মামলার আসামী আবু কাউসার (৩০) নিহত হয়েছে।

গত রাত তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের একজন উপপরিদর্শকসহ দুই কনস্টেবলও আহত হয়েছেন। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার নাসিম মিয়া জানান, মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পশ্চিম লক্ষ্মীপুর তিন নম্বর ব্রিজের কাছে আটক করতে গেলে সে পুলিশকে উদ্দেশ করে গুলি ছোড়ে।

ওই সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে কাউসার গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ক্রসফায়ারটাঙ্গাইলবন্দুকযুদ্ধ