নুরুল হাসান সোহানের অধিনায়কত্বের শুরুটা হলো হতাশার হারে। ব্যাট হাতে নিজে লড়াই করলেও নেতৃত্বে অনভিজ্ঞতার ছাপ ছিল স্পষ্ট। জিম্বাবুয়ের ২০৬ রানের বড় লক্ষ্য টপকানোর চ্যালেঞ্জে নেমে বাংলাদেশ তোলে ৬ উইকেটে ১৮৮ রান। শেষে মারকুটে ব্যাটিং উপহার দিয়ে হারের ব্যবধান ছোট করেন সোহান।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বাংলাদেশকে ১৭ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে লিড (১-০) নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সোহান ছাড়া বাকিরা প্রয়োজনের দাবি মেটাতে পারেননি। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ আগামীকাল রোববার একই মাঠে।
সোহান ২৬ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন। চারটি ছয় ও এক চারে সাজান ইনিংস। লিটন ১৯ বলে করেন ৩২ রান। শান্ত ২৫ বলে করেন ৩৭ রান।
শুরুতে বোলিংয়ে খাপছাড়া মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ দলকে। সঠিক লেন্থে বলই ফেলতে পারছিলেন না তাসকিন-শরিফুলরা। সুযোগের ফায়দা নিয়ে রানের পাহাড় গড়েছে জিম্বাবুয়ে। টি-টু্ুয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে স্বাগতিকরা প্রথমবার দেখে দুইশর মুখ।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৫ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। মাত্র ২৬ বলে ৬৫ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন সিকান্দার রাজা। মারেন সাতটি চার ও চারটি ছয়।
ওয়েসলি মাধেভেরে ৪৬ বলে ৬৭ রান করার পর চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন ইনিংসের শেষ ওভারে। সিন উইলিয়ামস করেন ১৯ বলে ৩৩ রান। দলের রান যখন ৯৯ তখন মোস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার হন এ ব্যাটার।
তারপর মাধেভেরে ও রাজা চালিয়ে যান তাণ্ডব। শেষ ৪৫ বলে ১০৫ রান তোলেন। তিন পেসারই ৪ ওভারে চল্লিশের বেশি রান দেন। শরিফুল তাসকিনকে ছাড়িয়ে রান দেওয়ায় ফিফটি পূর্ণ করেন মোস্তাফিজ। যদিও এ বাঁহাতি পেসার দুটি উইকেটও নেন।
স্পিনাররা তুলনামূলক ভালো করেছেন। মোসাদ্দেক হোসেন ৩ ওভারে ২১ রান নেন একটি উইকেট। নাসুম আহমেদ ৪ ওভারে দেন ৩৮ রান। আফিফ হোসেন এক ওভারে দেন ৬ রান। স্পিনাররা ভালো করায় প্রশ্ন তোলাই যায় একাদশে কেন পেসার কমিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ কিংবা শেখ মেহেদী হাসানকে সুযোগ দেওয়া হলো না! বোলার ব্যবহারে নতুন টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক বুদ্ধিমত্তা দেখাতে পারেননি।