জামিনের পর জানা গেল তিনিই ‘খুনি’

কলাবাগানে ১৪ মাস ধরে পুঁতে রাখা হয়েছিল নিখোঁজের লাশ

আসাদুজ্জামান বাবুল: নিখোঁজের ১৪ মাস পর গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের একটি কলাবাগান থেকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) আশা’র  মাঠকর্মী রায় চরনের (৩৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার গোবিন্দুপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

মুকসুদপুর থানার ওসি মীর্জা আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘রায় চরনকে ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর হত্যা করে তার লাশ বস্তাবন্দী করে কলাবাগানে পুঁতে রাখে মাহমুদুল হাসান সেন্টু।’

‘‘সেন্টু দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিখোঁজ রায় চরন গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া উপজেলার ভৈরব নগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মুকসুদপুরে আশা’র মাঠ কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।’’

মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইউসুফের তত্ত্বাবধানে লাশ উত্তোলন করা হয়।

গোপালগঞ্জ সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর ফাতেহ মোহাম্মদ ইফতেখার আলম বলেন, ‘ঘটনার পর আসামি সেন্টুকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের আইএমই নম্বর ধরে জানা যায় বরগুনার তালতলীতে হত্যাকারী সেন্টুর স্ত্রী’র বড় বোন নিহতের ফোনটি ব্যবহার করছেন।’

‘‘এরপর সেন্টুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।’’

তিনি আরো জানান, লোনের কিস্তির টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হওয়ায় তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে সেন্টু। আগেই তাকে এই মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

কিন্তু দুই মাস পর জামিনে ছাড়া পান সেন্টু। পরে নিহতের মোবাইল ফোনের আইএমই নম্বর ধরে লাশ গুমের তথ্য উঠে আসে।

আশাএনজিওকলাবাগাননিখোঁজলাশলাশ উদ্ধার