হাফিজ রায়হান: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল আর টানা ভারী বর্ষণে জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলার ৭ উপজেলায় ৫৯ টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করেছে। আশ্রয় নিয়েছে নৌ টার্মিনালসহ উঁচু বাধের উপর।
দুর্গতদের অভিযোগ: যাও বা সাহায্য মিলছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার জামালপুরে সকালে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ছে ব্রক্ষ্মপুত্র, ঝিনাই নদীর পানি। এতে টানা ১ মাসের বন্যায় বানভাসীদের দুর্ভোগ বেড়েছে।
দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাটে নির্মানধীন বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির অফিস বিল্ডিং, মসজিদ, রেষ্টুরেন্ট অয়েটিং শেড কমপ্লেক্স, টোলবক্স ও অয়েটিং শেড, টোলবুথ ও ড্রাইভার অয়েটিং শেডে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রেখে প্রায় ৪ হাজার বানভাসী গরু-বাছুর নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার, গো খাদ্যর তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। যতটুকু ত্রাণ সহায়তা মিলছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছে বানভাসীরা।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গত এলাকায় ৩ হাজার ৪শ ৮ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ ও ৮৮৪ মেট্রিকটন জিআর চাল দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে নগদ ২৯ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক।