জাবিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বাধা

দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ চেয়ে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে আন্দোলনকে বর্জন করে পূর্ব নির্ধারিত ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা।

সোমবার সকালে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনকারীদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, লাগাতার আন্দোলন ও প্রশাসনিক ভবন অবরোধের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন পিছিয়ে পড়ছে।

সোমবার সকাল ৯টায় নিজ নিজ বিভাগে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে গেলে সেখানে অনুষদ ভবনের প্রধান ফটকে বাধার সম্মুখীন হন। এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলনকারীদের বাকবিতণ্ডা চলে। পরে অনুষদ ভবনের শিক্ষকরা গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করলে তাদের সাথেও বাকবিতণ্ডা হয়।

অনুষদ ভবনে ঢুকতে না দেয়ায় ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের শহীদ মিনারের পাদদেশে বসে পরীক্ষা দিতে দেখা যায়৷

এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের সভাপতি আরিফা সুলতানা বলেন,পরীক্ষা নিতে ঢুকতে না দেয়ায় আমি শহীদ মিনারে পরীক্ষা নিচ্ছি। আমার লক্ষ্য নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস পরীক্ষা শেষ করা যাতে সেশন জট না হয়। এতে কোনো বাধা আসলে আমি যেভাবেই হোক, ক্লাস পরীক্ষা বজায় রাখবো।

আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের অধিকার আছে আন্দোলন করার, তেমনি অন্যদেরও অধিকার আছে ক্লাস পরীক্ষা দেয়ার। প্রত্যেকের অধিকার তার নিজের কাছে। এখানে বাধা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী লিমন বলেন, আমি ক্লাস করতে এসেছিলাম। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি যৌক্তিক মনে হওয়ায় আমি ক্লাস না করতে পারলেও দুঃখ নেই।

পরীক্ষা দিতে আসা আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমি আন্দোলনকারীদের সাথে যুক্ত না। তারপরও আমাকে পরীক্ষা দিতে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এখন কী করবো আমি বুঝতে পারছিনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমি ক্লাস করতে এসে দেখি কয়েকজন গেট আটকিয়ে রেখেছে। স্যার দেরও ঢুকতে বাধা দিচ্ছে।