স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রদর্শনী কক্ষ উদ্বোধন করা হয়েছে জাতীয় জাদুঘরে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রদর্শনী কক্ষটি তৈরির পৃষ্ঠপোষক চ্যানেল আই।
মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত গানগুলো মরণপণযুদ্ধে অনুপ্রাণিত করেছে মুক্তিযোদ্ধাদের। ওই কক্ষটি উদ্বোধন করে সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণই ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা।
জাদুঘরের মহাপরিচালক বলেন, আমি চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি আমি সবাইকে আহবান জানাই, জাতীয় জাদুঘরের উন্নয়নে আপনারা সবাই এগিয়ে আসুন। আপনাদের আইডিয়া, বুদ্ধি ও আর্থিক সাহায্য দিন। আমরা জাতীয় জাদুঘরকে একটি ডিজিটাল জাদুঘরে রূপান্তরিত করতে চাই।
এমন উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে আপ্লুত দেশের অন্যতম গণমাধ্যম ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড চ্যানেল আই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। তিনি বলেন, যারা কণ্ঠযোদ্ধা ছিলেন তাদের মধ্যে আমার বাবাও ছিলেন। আমার মনে আছে মে মাসের একটি অনুষ্ঠানে বাবা বলেছিলেন, এখন মানুষ আর ছেলেমেয়ের নাম আরবিতে রাখে না। নাম রাখে, সাগর, কেকা, প্রবাল, কাকলী-আমাদের চার ভাইবোনের নাম। তখন আমরা উজ্জীবিত হয়েছিলাম। আর বুঝেছিলাম এটা আমার বাবার কণ্ঠ। কারণ আমার বাবা ছাড়া আমাদের চার ভাইবোনের নাম আর কে জানবে? সুতরাং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক সেটা নতুন করে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে অনেক ধন্যবাদ।
স্বাধীনতা যুদ্ধের শব্দ সৈনিকদের নিয়ে এমন উদ্যোগকে ঐতিহাসিক মনে করেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি বলেন, আমরা একটি প্রদর্শনী কক্ষ পেতে যাচ্ছি। চ্যানেল আই, ফরিদুর রেজা সাগর সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাকে আমি আলাদা করে ধন্যবাদ দিতে চাইনা এই কারণে যে চ্যানেল আইয়ের স্লোগানই হলো হৃদয়ে বাংলাদেশ। যার হৃদয়ে বাংলাদেশ তার তো হাত বাড়িয়ে দেওয়ারই কথা। তারপরও আমি মনে করি এটা তাদের সহৃদয়তার প্রকাশ।
পরে জাতীয় জাদুঘরের ৩৮ নম্বর গ্যালারীতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রদর্শনী কক্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের স্মৃতিবিজরিত প্রদর্শনী কক্ষটি ঘুরে দেখেন অতিথিরা।