৫ ছক্কা ২ চারে ৩৮ বলে ৬১ রানের ঝলমলে ইনিংস। ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে চারে নেমে এ বাঁহাতির আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৬২ রান তাড়ায় পেয়েছে ৫ উইকেটের জয়।
ঘরোয়া লিগে রান তোলায় ধারাবাহিক হলেও জাতীয় দলে সেটি ধরে রাখতে পারেন না সেভাবে। আন্তর্জাতিক ম্যাচে নামলে কী যেন হয় ইমরুলের! সে প্রসঙ্গে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন জাতীয় দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকা এ ক্রিকেটার।
‘এখানে (বিপিএল) আমি জানি ভালো খেলি খারাপ খেলি সবগুলো ম্যাচ খেলবো। এ স্বাধীনতা যখন থাকবে তখন আপনার মধ্যে একটা পরিবর্তন আসবে।’
‘সারাবছর আমরা একটা বা দুটি টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলি। টেস্ট কিংবা ওয়ানডের পর দেখা যায় আমরা টি-টুয়েন্টি খেলি। দেখা যাচ্ছে দুটো-তিনটা (ওয়ানডে, টেস্ট) খেলে আমি টি-টুয়েন্টি খেলছি। জাতীয় দলে হয় কী, একটা ম্যাচ রান না পেলে পরের ম্যাচগুলোর জন্য চাপ হয়ে যায়।’
ভারতে টেস্ট সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে জাতীয় লিগে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ইমরুল। ইনিংসটি তাকে জাতীয় দলে ফেরাতে ভূমিকা রাখে। তাতে এ ব্যাটসম্যানকে ঘিরে প্রত্যাশা বাড়লেও টেস্ট সিরিজে হতাশ করেছেন। যেটি নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি।
টেস্ট সিরিজে কেউই ভালো করতে পারেননি। তবে সমালোচনার তীর ইমরুলের দিকেই বেশি যায়। এমন বাস্তবতায় বাঁহাতি ওপেনার জানালেন, বড় দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে হলে প্রস্তুতিটা বাড়াতে হবে আরও।
‘মানুষ বিখ্যাত না হলে তো সমালোচনা হয় না (হাসি), ভালো হোক খারাপ হোক সমালোচনা হয়। জিনিসটা কী দেখেন, ভারত সিরিজে খারাপ করেছি যেটা আমি নিজেও আপসেট। আমাদের টেস্ট ম্যাচের প্রস্তুতিটা আরও ভালো হওয়া দরকার, একজন খেলোয়াড় হিসেবে বলছি। দুই-তিন সপ্তাহ ধরে একটা প্রস্তুতি নিয়ে তবেই বিশ্বমানের একটা দলের সাথে খেলতে হবে, তিন-চারদিনের প্রস্তুতি আর জাতীয় লিগের বোলারদের খেলে টেস্ট খেলা অনেক কঠিন। আমার জন্য না, বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানদের জন্যও কঠিন।’
‘এ জায়গাগুলোতে আমাদের জন্য উন্নতি জরুরী, বোলার হিসেবে কাকে বল করবো কাকে খেলবো এসব এখান থেকে প্রস্তুত হয়ে গেলে সবার জন্যই ভালো।’