১৪ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৪ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

সোমবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ইশতেহার ঘোষণা শুরু করেন।

এতে সূচনা বক্তব্য রাখেন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঐক্যফ্রন্টের ১৪ দফা প্রতিশ্রুতিগুলো হলো-

১. প্রতিহিংসা বা জিঘাংসা নয়, জাতীয় ঐক্যই লক্ষ্য

২. নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা

৩. ক্ষমতার ভারসাম্য

৪. ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ

৫. দুর্নীতি দমন এবং সুশাসন

৬. কর্মসংস্থান এবং শিক্ষা

৭. স্বাস্থ্য

৮. জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন

৯. বিদ্যুৎ ও জ্বালানী

১০. প্রবাসী কল্যাণ

১১. নিরাপদ সড়ক এবং পরিবহন

১২. প্রতিরক্ষা ও পুলিশ

১৩. পররাষ্ট্র নীতি

১৪. জলবায়ু পরিবর্তন

এর আগে ইশতেহার ঘোষণার সূচনা বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন: ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সাম্প্রতিক নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মতো আমরাও বলতে চাই রাষ্ট্রের মেরামত প্রয়োজন।’

তিনি বলেন: দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল কিন্তু এই নির্বাচন আর সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য হবে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের নানা রকম পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ আমাদেরকে শঙ্কিত করেছে৷

ড. কামাল হোসেন বলেন: ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন নামে যে প্রহসনটি হয়েছিল সেটা সংবিধানে বর্ণিত জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের বাধ্যবাধকতার সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই এই জনগণ এই রাষ্ট্রের মালিকানা হয়েছিল৷ জনগণ যখন রাষ্ট্রের মালিক থাকে না তখন রাষ্ট্রের মালিক হয়ে পড়ে কায়েমী স্বার্থবাদী দেশি বিদেশি নানা গোষ্ঠী। এর মাশুল দিতে হয়েছে এ দেশের মানুষকে।

ইশতেহারএকাদশ জাতীয় নির্বাচনঐক্যফ্রন্টজাতীয় ঐক্যফ্রন্ট