জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন। বিসিবি সভাপতির কথা সত্য হলে খেলা হবে না বিশ্বকাপেও। দলে ফেরার পথ হতে পারতো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। কিন্তু সেখানে শুরু থেকেই ফ্লপ! ফিফটিহীন আগের ছয় ম্যাচে সর্বোচ্চ কেবল ৪৮। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া ইমরুল কায়েস ঘুরে দাঁড়াতে শুক্রবার বেছে নিলেন আবাহনীকে। করলেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাকে হাসতে দেননি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। বিধ্বংসী বোলিংয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের জয়ের স্বপ্ন।
শুক্রবার বিকেএসপিতে সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে সেঞ্চুরি হয়েছে দুটি। দুটিই বড় ইনিংস। ১৩০ রানের ইনিংস খেলছেন আবাহনীর জহুরুল ইসলাম। ১২৬ রান করে তাকে মোক্ষম জবাব দিচ্ছিলেন ইমরুল। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে ম্যাচের নায়ক হয়েছেন মাশরাফী, ৬ উইকেট নিয়ে।
প্রথমে ব্যাট করে আবাহনীর ২৮৬ রানের সংগ্রহের পেছনে কৃতিত্ব নিতে পারেন দুজন। ১৩৮ বলে ১৩০ রানের ইনিংস খেলে দলকে শক্ত কাঠামোতে দাঁড় করান জহুরুল। আর ৭৬ বলে ৭১ রান করে আবাহনীকে বড় সংগ্রহ পাইয়ে দেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
আকাশী-নীলদের আউট হওয়া ছয় ব্যাটসম্যানের বাকী চারজন তুলনামূলকভাবে হাতই খুলতে পারেননি এদিন। যাদের মধ্যে আছেন সৌম্য সরকার, ওয়াসিম জাফর, সাব্বির রহমানের মতো ব্যাটসম্যানরা!
১৪ চার ও ২ ছয়ে নিজের ইনিংসকে সাজিয়েছেন জহুরুল। ৮ চার এসেছে মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে যেমন ব্যাটিংয়ে প্রয়োজন ছিল শুরু থেকেই জ্বলে ওঠার, সেটাই করেছেন ইমরুল। রানের খাতা খোলার আগেই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রনি তালুকদার আউট হলেও ধাক্কাটা বুঝতে দেননি গাজীর অধিনায়ক। অন্যপ্রান্তের ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মাঝে থাকলেও একপ্রান্ত আগলে আবাহনীকে চোখ রাঙাচ্ছিলেন। কিন্তু মাশরাফীর আঘাতে সব লণ্ডভণ্ড হয়।
মাশরাফীর বলে সৌম্যের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ১১৮ বলে ১২৬ করেছেন ইমরুল। ১৫ চারের সঙ্গে ছক্কা মেরেছেন ৫টি। তার ফেরার পরেই ভেঙে পড়ে গাজীর ইনিংস। জয় থেকে ২৯ রান দূরে থাকতে ২৫৭ রানে অলআউট দলটি।
দুই ওপেনার, ইমরুলের মতো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে গাজী ক্রিকেটার্সের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন মাশরাফী। ১০ ওভারে শেষ পর্যন্ত টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়কের শিকার ৬ উইকেট! রান খরচ করেছেন ৪৬টি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গাজীর প্রায় সব ব্যাটসম্যানই মাশরাফী বিষে নীল হয়েছেন।