প্রতিবছর জন্মদিনে কাছের মানুষরা সারপ্রাইজ দিয়ে থাকেন চিত্রনায়িক নিরবকে। প্রথম প্রহরে স্ত্রী ঋদ্ধি এবং দিনভর বিভিন্ন টিভিতে লাইভ অনুষ্ঠানে জন্মদিন ভাগাভাগি করে সন্ধ্যার পর শোবিজের বন্ধুদের সঙ্গেই কাটান এ নায়ক। তবে এবারের জন্মদিন ঘরে থেকে নিরামিষ ভাবে কাটাচ্ছেন নিরব।
বিশেষত এ নায়ক তার অসুস্থ মা ও তার পরিবারের কথা ভেবে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপে নিরব বলেন, ২ জুন থেকে আজ ২ জুলাই পাক্কা একমাস ঘরের বাইরে পা দেইনি। সকাল থেকে আমার দুই মেয়েকে সামলাচ্ছি। ওদের মা তার ইউনিভার্সিটিতে জরুরী কাজে গিয়েছে। ঘরে থেকে এবার জন্মদিনটা একদমই স্পেশাল মনে হচ্ছে না। কোনো বৈচিত্র পাচ্ছি না। মার্চে কোয়ারেন্টাইন শুরুর প্রথম দিন যেমন লাগছিল, আজও জন্মদিনও তেমন লাগছে।
‘তবে ফোনে ফেসবুকে প্রচুর উইশ পাচ্ছি যা দেখে খুব ভালো লাগছে। এই করোনার মধ্যেও মানুষ আমাকে ভালোবাসা জানাচ্ছে এটাই অনেককিছু মনে করছি। সবার কাছে দোয়া কামনা করছি।’ বললেন আব্বাস খ্যাত এই তারকা অভিনেতা।
তবে জীবনের বিশেষ এ দিনে নিরবের চাওয়া, পৃথিবী শিগগির করোনামুক্ত হোক। তিনি বলেন, আশা হচ্ছে বেঁচে থাকার অন্যতম শক্তি। আশা আছে বলেই মানুষ আগামির জন্য বেঁচে থাকে। আমিও সুন্দর এবং নতুন এক পৃথিবী দেখার অপেক্ষায় আছি। করোনার পর সবকিছুতে চেঞ্জ আসবে। সেই পরিবর্তনে আমরা নতুন করে সবকিছু সাজাবো। আগে করোনায় অনেক দূরে মৃত্যুর খবর শোনা গেলেও এখন মৃত্যুগুলো খুব কাছে চলে এসেছে। এক ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৫ লাখের বেশি মানুষ পৃথিবী থেকে চলে যাওয়া তাচ্ছিল্যের বিষয় নয়।
করোনার ফলে ইতোমধ্যেই মানুষের উপলব্ধি ও মানবিকতায় পরিবর্তন এসে বলে মনে করেন নিরব। তিনি বলেন, আগে আমরা শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবতাম। করোনা আমাকে কাছের মানুষ পরিবারকে ভাবাতে শিখিয়েছে। নিরব বলেন, দীর্ঘদিন কাজ থেকে দূরে থাকায় নিজের সঙ্গে নিজে প্রতিযোগিতা করতে পারছিনা। যেমন আমার ‘আব্বাস’ ছবিটা ভালো গেছে, মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘ক্যাসিনো’ আরও ভালো হতে পারতো। নিজের সঙ্গে এই প্রতিযোগিতা খুব মিস করছি।