জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মোবাইল ব্যাংকিং

দিনে দিনে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মোবাইল ব্যাংকিং। নতুন ধারার এ ব্যাংকিং মানুষের জীবনযাত্রাকে নিয়ে এসেছে হাতের মুঠোয়। এ ব্যাংকিংয়ের কল্যাণে টাকা পাঠানো, টাকা ওঠানো থেকে শুরু করে দৈনন্দিন সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডই সম্ভব মোবাইল ফোনে ।

সেলিম সাহেব। রাজধানীর একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। বাড়িতে আগে ডাকে টাকা পাঠালেও এখন পাঠান মোবাইলে। সেলিম সাহেবের মতো মোবাইলে মায়ের কাছে টাকা পাঠান গার্মেন্টসকর্মী সেলিনা। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার হোসেন, শিক্ষক মাহাতাব খান সব শ্রেণী-পেশার মানুষই এখন মোবাইল ব্যাংকিং করছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্বাবধানে ২০১০ সালে চালু হয় মোবাইল ব্যাংকিং। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যমতে, এপ্রিল মাস পর্যন্ত মোবাইলে ব্যাংকিংয়ের সাথে যুক্ত হয়েছেন ২ কোটি ৬৮ লাখ গ্রাহক। শুধু ওই মাসেই মোবাইলে ৮ কোটি ৭১ লাখ বার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের পরিমান ১১ হাজার ৮শ ৪০ কোটি টাকা। এপ্রিল মাসে বিদেশ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

টাকা পাঠানো বা ওঠানোর মত গুরুত্বপূর্ণ কাজের সঙ্গে কোন পণ্যের মূল্য পরিশোধ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক কাজ হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ।

নতুন ধারার এ ব্যাংকিংয়ে সবশ্রেণীর মানুষের সম্পৃক্ততায় সমৃদ্ধ হচ্ছে সরকারের অর্থনৈতিক খাতও। মার্শাল ম্যাকলুহানের সেই বিশ্বগ্রামের মত অর্থনৈতিক লেনদেনও এখন হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে মোবাইল ব্যাংকিং।

মোবাইল ব্যাংকিং