বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোর্শেদ বৈধ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিল নিষ্পত্তি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম দিনের শুরুতেই প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন, বগুড়া-৭ আসনের বিএনপির প্রার্থী মোর্শেদ মিল্টন।

যাচাই-বাছাইয়ে তার প্রার্থিতা বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং অফিসার। এই আসনে বিএনপির মূল প্রার্থী ছিলেন দলটির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। আর মোর্শেদ ছিলেন বিকল্পপ্রার্থী। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করার পরও তা গৃহীত না হওয়ায় প্রার্থিতা অবৈধ হয়েছিল তার।

খালেদা জিয়ার পর মোর্শেদের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় ভিআইপি আসন হিসেবে পরিচিত বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে কে করবে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন এ আসনের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার ইসি মোর্শেদ মিল্টনের প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা করেন।

আজসহ আগামী তিন দিন (৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর) ইসিতে আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথমদিন ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া আপিল আবেদনের শুনানিতে ক্রমিক নম্বর দিয়েছি ১ থেকে ১৬০টি আপিল আবেদনের নিষ্পত্তি হবে।

দ্বিতীয় দিন ৭ তারিখে ১৬১ থেকে ৩১০ নম্বর পর্যন্ত। শেষ দিন ৮ তারিখে ৩১১ থেকে অবশিষ্ট  ৫৪৩ ক্রমিক পর্যন্ত আপিল আবেদনের নিষ্পত্তি করা হবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ৩ হাজার ৬৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। বিভিন্ন অভিযোগে ৭৮৬ জন প্রার্থীর মনোননয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসাররা।

আওয়মী লীগের মোট প্রার্থী ছিল ২৮১ জন। এর মধ্যে বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন ৩ জন। বিএনপি ৩শ’ আসনের বিপরীতে মনোননয়নপত্র জমা দিয়েছিলো ৬৯৬ জনের। এর মধ্যে ১৪১ জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়। আর জাতীয় পার্টির মনোনয়ন বাতিল হয়েছে ৩৮ জনের।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রাথীদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনসহ ৫৪৩ জন নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন।

বাকী ২৪৩ জন রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেননি।

আপিলএকাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনবিএনপি