টানা দুই মেয়াদে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তৃতীয় মেয়াদ জনগণ ভোট দিলে ক্ষমতায় আসবো; কিন্তু ভোট না দিলে বলতে পারি না যে আবার ক্ষমতায় আসবো।
শনিবার রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট আয়োজিত ষষ্ঠ কনভেনশনে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী কৃষিবিদদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ আমাদের যেন কারো কাছে হাত পাততে না হয়, সেই ব্যবস্থা করবেন।
কৃষকদের জন্য নানান সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা চাই কৃষকরা যেন আরো ভালোভাবে চাষ করতে পারে। একসময় সারের দাবি করতে গিয়ে কৃষক মারা গেছিলো, এখন সার কৃষকের হাতে পৌঁছে যায়। কৃষি উপকরণ কার্ড দিয়েছি। সেসব দিয়ে যাতে উপকরণ কিনতে পারে সেই চেষ্টা আমরা করেছি। সারের দাম কমিয়ে দিয়েছি।
সরকার দেশের উন্নয়নমূলক যেকোনো কাজ চাইলেই নামমাত্র মূল্যে জমি দিয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কখনো বলতে হয়নি; কাকে, কখন কি দিতে হবে? কতটুকু সুযোগ দিতে হবে? সেই বিষয়ে সরকার যথেষ্ট সচেতন আছে। তবে পেলেই যে সব চাইতে, হবে সেটা ঠিক না। সকলকেই দেশের কাজের জন্য প্রয়োজন।
মির্জা জলিলকে প্রশংসা
কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ও কৃষি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মির্জা জলিলের কথা টেনে তিনি বলেন, বর্গা চাষীদের ব্যাংক ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। মির্জা জলিল এখানে আছেন। তাকে বলেছি প্রত্যেক উপজেলায় সপ্তাহে দুদিন করে হাট বসে। সেই হাটের দিনে যাবেন। এক জায়গায় চাদর টানিয়ে বসবেন।
‘বর্গাচাষীরা ঋণ নিবে, পরে সেটা তারা ফেরত দেবে। উনি সেটা করেছেন। তাতে দেশের কৃষকরা লাভবান হয়েছে। এখন যোগাযোগ নিয়েও ভাবতে হয় না, কৃষকরা তাদের পণ্য উৎপাদন করে সহজেই বাজারে আনতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি, তাদের সবার খাবার নিরাপত্তা দিতে হবে। আমাদের জমির সীমাবদ্ধতা আছে কিন্তু জমি উর্বর। সেজন্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি গবেষণায়। গবেষণা করেই আমরা ধান, মাছ উৎপাদন করতে পেরেছি। আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছি।
‘আমরা সোলার প্যানেল ব্যবহার করার কথা বলছি। তবে সেটাতে খরচ বেশি। তাই একা করা সম্ভব হবে না। কৃষি ও বিদ্যুৎ কোঅপারেটিভ হলে কাজটা সহজ হবে। প্যানেলগুলো উঁচু করে দিলে নিচে মাছ ও জমিতে চাষ হবে। খাদ্য উৎপাদন করলেই হবে না। মজুদ রাখার কথাও মাথায় রাখতে হবে।’
ভৌগলিকভাবেই দেশকে নানান দুর্যোগের মুখে পড়তে হয় উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, তাতে একেকটা ফসল নষ্ট হয়। টুঙ্গিপাড়া, কোটালিপাড়ায় কচুরিপানার উপরে কৃষিচাষ করে। এসব দেখালাম কৃষিমন্ত্রীকে। ভাবলাম এভাবে ভাসমান চাষ হতে পারে। সেটা এখন হচ্ছে অনেক জায়গাতেই।