ছোট পর্দার তারকাদের আলোচিত বিবাহ বিচ্ছেদ

এ বছর শুরু থেকে শেষ অবধি ছোট পর্দার তারকাদের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে মিডিয়া পাড়া বেশ সরগরম ছিলো। দীর্ঘ দিনের সংসার জীবনের বিচ্ছেদ থেকে বাদ পড়েননি মনির খান শিমুল ও নাদিয়া দম্পতিরাও। তবে এ বছরের প্রায় অনেকটা সময় সুজানা ও হৃদয় বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ছিলো আলোচনার তুঙ্গে।

সংসার জীবনের বিচ্ছেদের পর এসব তারকারা আবার নিজ নিজ কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।   

চ্যানেল আই অনলাইনের পাঠকের জন্য ২০১৫ সালের আলোচিত তারকাদের বিবাহ বিচ্ছেদ

মনির খান-শিমুল
একসময় ছোট পর্দায় সেরা দম্পতিদের তালিকায় ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা মনির খান শিমুল-ও নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী নাদিয়া। দীর্ঘদিনের প্রেমের পর ২০০৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিয়ে করেছিলেন শিমুল ও নাদিয়া।

তবে দীর্ঘ সাত বছরের সংসার জীবনের বিচ্ছেদ ঘটার খবর জানান গত এপ্রিল মাসে। দুজন ঢাকঢোল পিটিয়ে বিয়ে করলেও বিচ্ছেদের ব্যাপারটি একদম গোপন রেখেছিলেন তারা।
হৃদয় খান-সুজানা জাফর
গেলো ১ আগস্ট মিডিয়াকে জানিয়ে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছিলেন সংগীতশিল্পী হৃদয় খান ও মডেল-অভিনেত্রী সুজানা জাফর। কিন্তু বিয়ে হওয়ার মাত্র আট মাসের মাথায় গত ৬ এপ্রিল তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। বিয়ের খবরের মতো বিচ্ছেদের খবর জানাতে খুব বেশি দেরি করেননি হৃদয়।

সেই রাতেই তার ফ্যানপেজে ‘হৃদয় খান’স ক্লাবে’ একটি ভিডিওবার্তা আপলোড করেন। তাতে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা নিশ্চিত করেন তিনি। হৃদয় গণমাধ্যমগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা না বললেও সুজানা এ বিষয়ে কথা বলেছেন বহুবার। পারস্পরিক বোঝাপড়া না হওয়ার কারণে তাদের বিচ্ছেদ হয় বলে জানিয়েছেন সুজানা।
আজমেরী হক বাঁধন-মাশরুর হোসেন সিদ্দিকী
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাশরুর হোসেন সিদ্দিকীর সঙ্গে আজমেরী হক বাঁধনের বিয়ে হয় ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। বিয়ের পাঁচ মাসের মাথায় তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। তবে বিচ্ছেদের ব্যাপারটি মিডিয়াতে গোপন রেখেছিলেন লাক্স তারকা বাঁধন।

তবে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে বাঁধনের বিচ্ছেদের খবরটি পুরো মিডিয়ায় চলে আসলে তিনি বলেন, আমাদের বিচ্ছেদ অনেক আগেই হয়ে গেছে এখন শুধু ডিভোর্স পেপার পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।

বাঁধন জানান, একমাত্র মেয়ে সায়রার কথা ভেবে তাদের বিচ্ছেদের খবরটি মিডিয়ার সামনে আনতে চাননি।

২০১৫সালতামামি