ছাত্র রাজনীতি ও আবরার: কে কার বলি?

১.
স্থান: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে(এসএম) প্রবেশের মুখে বাম পাশের অতিথি কক্ষ। হলের কোন শিক্ষার্থীর কাছে কোন অতিথি আসলে তার অপেক্ষার করার স্থান। সময় ২০০৩ সাল। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায়। ক্যাম্পাসে হলগুলোর একক নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের। সায়েম (ছদ্মনাম) তার এলাকার এক ছাত্রদল নেতার মাধ্যম ধরে তৎকালীন এসএম হল ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম গোলাপ(ছদ্মনাম) এর মাধ্যমে হলের গণরুম ১৫১ তে ঠাঁই পায়। প্রতিদিন সন্ধ্যায় গেস্টরুমে হাজিরা দিতে হয় প্রথমবর্ষের সকল শিক্ষার্থী। সায়েম কলেজ জীবনে ডিবেট করতো তাই ছাত্রদলের পরিচিতি অনুষ্ঠানে তার বক্তব্য সবার নজর কাড়ে।

ছাত্রদলের এক নেতার কারামুক্তি উপলক্ষে সবার সাথে মিছিলে যান। স্লোগান দেয়। ভালোই লাগে। একদিন পড়তি বিকেলে কি কারণে যেনো গেস্টরুমে সায়েম। হঠাৎ সেখানে হলের সভাপতি গোলাপ হাজির। গোলাপ সবসময় খুব পরিপাটি থাকতো। বয়স তখনি তার ৩৫ কোটায়। হঠাৎ সে তার কোমর থেকে নাইন এমএম পিস্তলটি বের করে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখে। কৌতুহলী সায়েমের চোখ দেখে গোলাপ তার হাতে পিস্তলটি দেয় এবং বলে,
‘দেখ ব্যাটা। এটা আমার পিস্তল। আমার এই সাইজটা খুব পছন্দ। কোমরে রাখা যায়। সুন্দর না।’
সায়েম এর আগে কখনো অস্ত্র দেখেনি। এই প্রথম তার নিজ হাতে অস্ত্র নেয়া। পুরো শরীর জুড়ে অন্যরকম শিহরন জাগে। বাকরুদ্ধ অবস্থান শুধু মাথা নাড়ে। তার মনে পড়ে যায় সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ’র সেই তুলসী গাছের আত্মকাহিনী গল্পের কথা,
‘হাতে বন্দুক থাকলে নিরীহ টিয়া পাখিকেও গুলি করতে ইচ্ছা করে।’
সায়েম শুধু মাথা নাড়ে।

ঐ বছরই এসএম হলের পাশে বুয়েটে নতুন ভবন নির্মানের টেন্ডার পাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। গোলাগুলির মাঝখানে পড়ে অকারে প্রাণ হারায় মেধাবী বুয়েট ছাত্রী সাবিকুন নাহার সনি। সেই ঘটনার প্রধান আসামী ছাত্রদল এসএম হল শাখার সভাপতি গোলাপ।
সায়েম এখন একটি টেলিভিশনের সাংবাদিক। অফিস অ্যাসাইনমেন্টে বুয়েটে আবরার হত্যাকান্ডের ফলোআপ রিপোর্ট করতে গিয়ে তার ১৭ বছর পূর্বের সেদিনের গেষ্ট রুমের ঘটনা মনে পড়ে। ‘টর্চার সেল কাহাকে বলে’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের গেস্টাপো বাহিনী ইহুদিদের নির্যাতন করার জন্য কতগুলো বিশেষ কক্ষ তৈরী করেছিলো। যেগুলোর টর্চার চেম্বার বা সেল বলা হতো। আবরার হত্যাকান্ডের পর বিভিন্ন মিডিয়ায় আবারো ব্যবহৃত হচ্ছে টর্চার সেল শব্দটি। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেষ্টরুমগুলোকে বলা হচ্ছে টর্চার সেল। আসলে কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য হলগুলোতে টর্চার সেল বলে কিছু থাকে?
সায়েম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করে ২০০৭ সালে। হলে ছাত্রসংগঠনের নেতাদের বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের সাক্ষী সেও। সে সময় ছাত্রলীগ করার কিংবা অন্য কোন ছাত্রসংগঠন বা নিজ দলের গ্রুপীংয়ের শিকার হয়ে তাদেরও কোন কোন বন্ধু মার খেয়ে হাসপাতালে গেছে। সেটি কোন একক রুমে নির্যাতনের ফলে নয়। সায়েম যখন গণরুমে থাকতো তখন সেই রুমে ছাত্রদলের এক ক্যাডার ছিলো । রাত চারটার সময় বাহির থেকে এসে তাদের মশারী উপরে তুলে দিতো। মশার কামড়ে ঘুম ভেঙ্গে গেলে চোখ পড়েতা ঐ ক্যাডার ছাত্র রুমের বাহিরে বারান্দায় বসে সিগারেট ফুকছে। আর তাদের উদ্দেশ্যে বলতো,
‘অনেক ঘুমিয়েছো ,এবার আমি ঘুমাবো। ’
কি আর করা সায়েমদের মতো নিরীহ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফজরের নামাজের ছলে মসজিদে গিয়ে ঘুমানো ছাড়া উপায় থাকতো না।
তবে টর্চার সেল বলে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনো পরিলক্ষীত হয়নি। বিভিন্ন টেলিভিশন মিডিয়ায় টর্চার সেলের কথা শুনে সায়েম বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়। লাইব্রেরীর সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে অন্য চিত্র পাওয়া যায়।

ডাকসু নির্বাচন: বদলে দিয়েছে দৃশ্যপট
শিক্ষার্থী জানায়, এখন আর আগের মতো গেষ্টরুমে গিয়ে প্রতিদিন হাজিরা দিতে হয় না। ডাকসু নির্বাচনের পর নেতাদের আচার আচরনেও বড় ধরনের পরিবর্তন হয়েছে। দীর্ঘ দশ বছর ধরে আওয়ামীলীগ ক্ষমতাসীন থাকায় ক্যাম্পাসে একক আধিপত্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের। ডাকসু নির্বাচনের পর ছাত্রদলের নেতা কর্মীরাও ক্যাম্পাসে অবাধে আসা যাওয়া করে। ডাকসুর’ ভিপি, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ছাত্রলীগের নয়। পাশাপাশি বসে একসাথে তারা ডাকসুতে অফিস করে। হল পর্যায়ে পূর্বে একক আধিপত্যে ছিলো ছাত্রলীগের নেতাদের। সেখানে হল সংসদের নেতারাও এখন আছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে নির্বাচিত নেতৃত্ব হওয়ায় তারা ছাত্রলীগ নেতার চেয়ে বেশি শক্তিশালী। কোন কোন হলে গেস্টরুম কালচার বাদ দিয়ে হল সংসদ নেতারা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, বঙ্গবন্ধুর রোজনামচা জাতীয় বই নিয়ে পাঠচক্র করছে। একটি নির্বাচিত ছাত্র সংসদ অনেক কিছুর যে পরিবর্তন আনতে পারে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। ছাত্র রাজনীতি: ঐতিহাসিকতার দায়, বর্তমানের ক্ষরণ, ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তা
ক্ষমতাসীন দলের ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের হাতে আবরারের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর নতুন করে আলোচনায় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা। আবরারকে যারা পিটিয়ে হত্যা করেছে তারা কেউ বুয়েটে বহিরাগত নন। সবচেয়ে কঠিনতম ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে দেশের অন্যতম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা আবরারের মতোই ভর্তি হয়েছিলেন। তারাও মেধাবী। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় হলের কোন সংস্কৃতি তাদের মেধা চর্চার পরিবর্তে খুনে চর্চায় উদ্ভুদ্ধ করলো? বুয়েট বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এমন কি দেশের বেশিরভাগ মানুষও বিশ্বাস করে দুষিত ও লেজড়–বৃত্তির ছাত্র রাজনীতিই মেধাবীদের অভিযুক্ত খুনীতে পরিণত করেছে?
তারুণ্য একটা শক্তি। সেই শক্তির সর্বোচ্চ পর্যায় অতিক্রান্ত হয় বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। যেকোন শক্তির দুটো দিক আছে। একদিকে সে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে, অন্যদিকে সে ভেঙ্গে চুরমার করে দিতে পারে? তারুণ্যের সেই শক্তির সাথে যদি অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতার যোগ হয় তবে সেটি হয়ে পড়ে ভয়ংকর। ইংলিশ দার্শনিক গ্ল্যাডস্টোন বলেছেন, ‘পাওয়ার করাপ্ট, অ্যাবসলিউট পাওয়ার করাপট অ্যাবসলিউটলি। ক্ষমতা দুষন করে, নিরংকুশ ক্ষমতা নিরংকুশ দুষণ ঘটায়।’

আমাদের দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলা হয়। অক্সফোর্ডেও ছাত্র রাজনীতি রয়েছে। অক্সফোর্ডে শিক্ষার্থীদের দুটো সংগঠন রয়েছে। একটি অক্সফোর্ডের ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর সংগঠন অক্সফোর্ড ইউনির্ভাসিটি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (উশু)। নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান এটির প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আনিসা ফারুক। বৃটেনসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এই ইউনিয়নে বিতর্ক হয়। যে কেউ অক্সফোর্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ডিবেট দিয়ে গুগল সার্চ দিলে দারুণ সব বিতর্ক পাওয়া যায়। বৃটেনসহ বিশ্বের অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রী , সংসদ সদস্যরা অক্সফোর্ডে পড়াকালীন এই ইউনিয়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বলা হয়ে থাকে বৃটেনে যত প্রধানমন্ত্রী তার ৭০ ভাগ অক্সফোর্ডের শিক্ষার্থী। তাহলে যেখানে ছাত্র রাজনীতি নেই সেখানে কিভাবে তারা পরে গিয়ে রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

হ্যা। অক্সফোর্ড বৃটেনের একটি এলাকাও বটে। সেখানে স্থানীয় লেভার ও কনসারভেটিভ পার্টির কাউন্সিল রয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাদের রাজনীতি নিয়ে আগ্রহ আছে তারা এসব কাউন্সিলের সাথে স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে অংশ নেয়। তখন যার যে দলকে ভালো লাগে পরবর্তীতে তারা সেই দলের সাথে নিজেকে যুক্ত করে। এর বাইরে বৃটেনের সকল ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের সংগঠন ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন বা এনএসইউ। এই সংগঠন এতটাই শক্তিশালী যে শিক্ষার্থীদের যেকোন দাবি দাওয়া নিয়ে তারা পুরো বৃটেনের উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থা অচল করে দিতে পারে।

আমাদের দেশে ছাত্র রাজনীতির ঐতিহাসিক অবদান আছে। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোল, ৬৯’র গণঅভ্যূত্থান, মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, হালে ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনা উচ্ছৃখলতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। শুধু তাই নয় ২০০৩ সালে শামসুন্নাহার হলে মধ্যরাতে পুলিশ ঢুকে ছাত্রীদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনেও ছাত্র সংগঠন গুলোর ভুমিকা রয়েছে। তবে ৯০ এর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ফিরে আসার পর থেকে ডাকসু কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলনে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনগুলো যে নেতিবাচক ভ’মিকা রেখেছে সেটি সবার কাছে স্পষ্ট। সেই কারণে এখন নতুন করে ভাবনার সুযোগ এসেছে ছাত্র রাজনীতির কোন রূপটিকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখতে চাই। আদৌ জাতীয রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্রসংগঠন ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজন আছে কি না?

‘ছাত্র রাজনীতি না থাকার ফল: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে ছিরে মেট্রোরেল?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করেন তাদের প্রত্যেকের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় যখন শাহবাগ থেকে দৈতাকৃতির মেট্রোরেল নির্মানের কাজ দেখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরী ঘেষে, কার্জন হলের সৌন্দর্যকে ডেকে দিয়ে নির্মিত হচ্ছে মেট্রোরেল। শাহবাগ থেকে মেট্রোরেলটি দোয়েল চত্ত্বর দিয়ে না গিয়ে মৎসভবন দিয়ে গেলে কি এমন ক্ষতি হতো কিংবা এখন কতজন মানুষের খুব বেশি লাভ হবে বোধগম্য নয়। অথচ এমন একটি নির্মানে শক্ত প্রতিরোধ আসেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। কারণ শিক্ষার্থীরা ভূত হয়ে আছে কোন মতে মুখ গুজে বিসিএস নামক ক্যারিয়ার গড়তে। ক্ষমতাবান ছাত্রসংগঠন এটির পক্ষে ছিলো কারণ তাদের পিতৃব্য দল ক্ষমতাসীন তারা বাস্তবায়ন করছে। অথচ একটি বিশেষ বাহিনীর ছোট একটি চিঠির কারণে বেশিরভাগ শহুরে মানুষের প্রয়োজনের পরও মেট্রোরেলের রুট পরিবর্র্তীত হয়েছে।

বলশেভিক বিপ্লব, ফরাসী বিপ্লব থেকে হালের কসোভা আন্দোলনসহ প্রতিটি আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগ রয়েছে। কসোভা আন্দোলনের ছাত্র নেতা এখন দেশটির প্রেসিডেন্ট। ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজন রয়েছে তবে বর্তমান ক্যাম্পাসে চলমান রাজনীতি ২১’শতকের প্রয়োজনে কতটা যৌক্তিক সেটি বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে হয়। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া আদায়ে যেমন প্রয়োজন শক্তিশালী ছাত্র সংগঠন তেমনি শিক্ষার্থীদের জাতীয় রাজনীতি ও বৈশ্বিক গতিপ্রকৃতি নিয়ে জ্ঞানার্জনে প্রয়োজন যথাযথ সৃষ্টিশীল ব্যবস্থা।

পুণশ্চ: কথা সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী যারা ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল ও টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠানে পড়েন তাদের অর্ধমানব বলেছেন। তাদের পরামর্শ দিয়েছেন মাঝে মাঝে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান যেখানে পড়ানো হয় সেখানে বেড়াতে যেতে। তাহলে তারা পূর্ণমানুষ হতে পারবে। আমাদের সকল জ্ঞান তো শেষ পর্যন্ত মানুষকে ঘিরেই কাজ করে। তাই মানুষ চেনার জ্ঞান না থাকলে কি চিকিৎসা. কি প্রকৌশল, কি বিজ্ঞান সবকিছু মানবিকতার পরিবর্তে অমানবিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে মানুষের কল্যাণের পরিবর্তে ধ্বংসে ব্যবহৃত হতে পারে।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।) 

ছাত্র রাজনীতিঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়