চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে যাত্রীবাহী বাস, সিএনজি ও আলমসাধুর সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ২ জন।
রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার মোল্লাবাড়ী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মোবাইলে ফোনে কথা বলতে গিয়ে বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে নিলুফার ইয়াসমিন নামে বাসের এক যাত্রী অভিযোগ করেছেন।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জীবননগর ও দর্শনা ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গণি মিয়া জানান, জীবননগর থেকে কেজিএন পরিবহনের(পাবনা-জ. ১১-০০৩০) মিনিবাসটি চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বাসটি মোল্লাবাড়ী নামক স্থালে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা রেজিস্ট্রেশনবিহীন একটি সিএনজি এবং ধান বোঝাই আলমসাধুর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় বাসের ধাক্কায় সিএনজি ও আলমসাধু দুমড়ে মুচড়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজির যাত্রী স্বামী-স্ত্রীসহ ৪ জন নিহত হন। নিহতরা হলেন- জীবননগর উপজেলার উথলীর মালোপাড়ার জামাত আলীর মেয়ে শ্যামলী (২৮), তার স্বামী রবিউল ইসলাম (৩২), আলমডাঙ্গা উপজেলার পাইকপাড়ার জলিল মোল্লার ছেলে আব্দুল হালিম (৪৫) ও চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার রমজেত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর (৩০)।
আহতরা হলেন নিহত দম্পতির ছেলে তৌফিক (৬), পাখি বেগম (৭০), লিপি খাতুন (৩৫), আমির হামজা (৪০), আকিজ হোসেন (২৫), আলমসাধু চালক টিটু (৩০) ও রেজাউল হক (২৫)। তাদের উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জীবননগর থানায় মামলা হবে বলে তিনি জানান।
জীবননগর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজ জানান, সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে।