বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিকাংশ সদস্যই খুলনার। করোনাকালে ঢাকা ছেড়ে সালমা খাতুন, রুমানা আহমেদরা অবস্থান করছেন নিজ এলাকায়। ব্যক্তি উদ্যোগে অসহায় মানুষদের সাহায্য করেছেন তারা। এবার সবাই একাট্টা হয়ে নেমেছেন করোনো যুদ্ধে জয়ী হতে।
জাতীয় পর্যায়ে খেলা খুলনার ২২ নারী ক্রিকেটার ও বিভাগীয় কোচ ইমতিয়াজ হোসেন পিলু ফান্ড গঠন করে এলাকার অসচ্ছল খেলোয়াড়, সংগঠক ও নিম্ন আয়ের মানুষকে দিচ্ছেন ২৫ কেজি করে চাল। মসজিদ-মন্দিরেও পাঠানো হচ্ছে চালের বস্তা।
খুলনা শহর লকডাউন অবস্থায় থাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে যাচ্ছেন না কোনো ক্রিকেটার। সালমা-রুমানাদের কোচ ইমতিয়াজ হোসেন বস্তা নিয়ে যাচ্ছেন দরিদ্র জনগণের মাঝে।
চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বললেন, ‘কয়েক দফায় আড়াই টন চাল অসহায় মানুষদের ঘরে পৌঁছে দেব। রোজার আগ দিয়ে আরও আড়াই টন চাল নিজ উদ্যোগে বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে। তখন চালের সঙ্গে কিছু শুকনো খাবারও দেব।’
সালমা-রুমানা ছাড়াও চাল বিতরণের মতো উদ্যোগের সঙ্গে খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন আয়শা রহমান শুকতারা, শায়ালা শারমিন।
খুলনার ক্রিকেটারদের মধ্যে একমাত্র জাহানারা আলম যেতে পারেননি নিজ এলাকায়। ঢাকাতেই অবস্থান করছেন এ পেসার। গত ১ এপ্রিল নিজের জন্মদিনে জাহানারা অসহায়দের মাঝে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। মিরপুর ৬ নম্বর এলাকা ও আশপাশের অসহায় ৫০ পরিবারের হাতে তুলে দেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য।