চাপে ইয়াবা ব্যবসা, বেড়েছে ফেনসিডিল আসার পরিমাণ

কৌশল পাল্টে ভিন্ন পথে দেশে ঢুকছে মাদক

কৌশল পাল্টে ভিন্ন পথে দেশের অভ্যন্তরে ঢুকছে মাদক। আগে কক্সবাজার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা আসলেও এখন আসছে সিলেট ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোর সীমান্ত দিয়ে। সেই সঙ্গে ফেনসিডিল আসার পরিমাণও আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযানের কারণে ঘন ঘন কৌশল বদলাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা।

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে চলা অভিযানের ৪১৮ দিনে সারাদেশে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ৪০৭ জন মাদক ব্যবসায়ী। এদের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১৮৯ জন, র‌্যাবের সঙ্গে ১১৪ জন, বর্ডার গার্ড বিজিবির সঙ্গে ২৭ জন এবং নিজেদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে ৭৭ জন। শুধুমাত্র কক্সবাজারে নিহত হয়েছে ১৩৪ জন মাদক ব্যবসায়ী।

গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় সীমান্ত দিয়ে এখনো মাদক ঢুকছে।

নতুন পথে ইয়াবার চালান

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ মিয়ানমার থেকে আগে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ইয়াবার চালান আসলেও কড়াকড়ি থাকায় তা এখন সিলেট, মৌলভীবাজার, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বাগেরহাট এবং ভোলা জেলার সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করছে। আর ফেনসিডিল আসছে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোর ও কুষ্টিয়া সীমান্ত দিয়ে।

পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ১ কোটি ৬৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮৭০ পিস ইয়াবা এবং ৪ লাখ ৬০ হাজার ৭৩৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। মাদক মামলা হয়েছে ৬৭ হাজার ৯৩টি এর বিপরীতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৮ হাজার ১০৬ জনকে।

ফেনসিডিল চালানের নতুন পথ

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের অনেকেই ধরা পড়েছে, অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছে। বিকল্প পন্থায় এখনো ভোক্তাদের কাছে মাদক সরবরাহ করছে মাদক ব্যবসায়ীরা।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, চলমান অভিযানে দেশের অভ্যন্তরের মাদক স্পটগুলো গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে ভিন্ন পথে দেশের অভ্যন্তরে মাদকদ্রব্য এলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় মাদক ব্যবসায়ীরা স্বস্তিতে নেই।

মাদকমাদকবিরোধী অভিযান