চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে চককীর্তি এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িতে ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ স্থগিত করা হয়েছে। প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা অভিযান চলার পর বুধবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে তা স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ (এসএজি)-এর উপ পুলিশ কমিশনার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার ঘটনাস্থলের সামনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান আবারও শুরু করা হবে।
ভেতরে কয়জন জঙ্গি থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে? সাংবাদিকদের এরকম প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখনও ভেতরে প্রবেশ করতে পারিনি। সুতরাং কয়জন আছে তা বলতে পারছি না। জঙ্গিরা চার থেকে পাঁচটি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আমাদের ধারণা, এরা পুরাতন জেএমবির সদস্য।
এরআগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর থেকে পুলিশ, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ওই বাড়িটি ঘিরে রাখে। সন্ধ্যায় ওই বাড়ির দিক থেকে প্রায় পাঁচশো গজ দূরে অবস্থানরত সাংবাদিকরা টানা গুলির শব্দ শুনেত পান।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিট জানিয়েছে, আবু নামে এক জঙ্গি পরিবারসহ ওই বাড়িতে অবস্থান করছে বলে তাদের ধারণা। কয়েক মাস আগে আবু ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে থাকতে পারে।
সকালে ওই বাড়ির ভেতর গুলির শব্দ পাওয়া যায়। চককীর্তি এলাকার শিবনগর ও ত্রিমোহনী গ্রামে ১শ’ ৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে ওই বাড়িটি ঘিরে দুই শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সকাল থেকেই থেমে থেমে বাড়ির ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়।এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সহকারী কমিশনার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম। তবে ওই বাড়িতে কী পরিমাণ বিস্ফোরক বা গোলাবারুদ আছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।