ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় প্রস্তুতি কতোটুকু?

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর কারণে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় ইতোমধ্যে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সেন্টমার্টিনে অন্তত ১২০০ পর্যটক আটকা পড়েছে। সাগরে মাছ ধরার ট্রলারগুলো উপকূলে ফিরে আসতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পুরো উপকূলীয় অঞ্চলে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে।

এর আগে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতি থাকায় বাংলাদেশে ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর ক্ষেত্রেও সেভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। এই ঘূর্ণিঝড়কে সামনে রেখে ইতোমধ্যে অবশ্য প্রসাশনের নানা উদ্যোগ লক্ষ্য করা গেছে।

উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা প্রশাসন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারি ছুটির দিনেও দুর্যোগ ব্যবস্থা কমিটির সাথে সভা করেছেন। কিছু ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন, ফায়ার সাভিস, রেড ক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে। সাগরে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এমনকি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে এসব এলাকার বিভিন্ন রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগকালে মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার পাশাপাশি দুর্যোগকালীন ও পরবর্তী সময়ে মানুষের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য মেডিক্যাল টিম গঠনসহ দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানিসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করার কথাও সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। এসব পদক্ষেপ অবশ্যই প্রসংশনীয়।

তবে সরকারের একার পক্ষে এই দুর্যোগ মোকাবিলা সম্ভব নয়। এজন্য সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অতীতের মতো ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলেই আমাদের আশাবাদ। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় সবাইকে এগিয়ে আসতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।

ঘূর্ণিঝড়ঘূর্ণিঝড় বুলবুলবুলবুলসম্পাদকীয়