ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এখন স্থল নিম্নচাপ হিসেবে বাগেরহাট, খুলনা ও পটুয়াখালি অঞ্চলে অবস্থান করছে। এর ফলে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।
তাই চারটি সমুদ্রবন্দরের মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এর আগে রোববার সকাল থেকে ‘বুলবুল’ প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বাগেরহাট, খুলনা এবং সাতক্ষীরা অঞ্চলের ওপর অবস্থান করছিল।
ঘুর্ণিঝড়টি তার অবস্থান থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বুলবুল ক্রমেই আরও দুর্বল হয়ে মাদারিপুর, ফরিদপুর, ঢাকা, কুমিল্লা অঞ্চল দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা অতিক্রম করবে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল কিছুটা দুর্বল হলেও মোংলা, পায়রা বন্দর সংলগ্ন নয় জেলা- ভোলা, পটুয়াখালি বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরায় ১০ নন্বর মহাবিপদ সঙ্কেত বহাল রয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন ৫ জেলা- চট্টগ্রাম, নোয়াখালি, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত বহাল রয়েছে। কক্সবাজার বন্দর সংলগ্ন এলাকায় ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
শনিবার রাতভর উপকূলে তাণ্ডব চালিয়ে বুলবুল দুর্বল হয়ে পড়েছে স্থলভাগে এসে। এখন স্থলভাগের উপর দিয়ে বয়ে চলেছে। এর ফলে উপকূলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। রাত থেকেই উপকূল জুড়ে বিদ্যুৎ নেই। আজ বিকেলে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে পটুয়াখালী, বরগুনা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৪ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার রাতে বুলবুল উপকূলীয় এলাকা অতিক্রমের সময় ঝড়ো হাওয়ায় তারা নিহত হন। এছাড়া বরগুনায় ৬৪ মাঝি-মাল্লাসহ ৭টি মাছধরার ট্রলার নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে বুলবুলের প্রভাবে চট্টগ্রাম শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ছিল। রোববার সকাল ৭টা থেকে এই বিমান বন্দর চালু ও স্বাভাবিক ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সারা দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল এখনও বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সাগর উত্তাল থাকায় সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছেন ১২শ’ পর্যটক।