ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে নিহত ১০

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এর আঘাতে উপকূলীয় জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে ও ৩ জন আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইর্মাজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্টোল রুমের সহকারি পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে আম্পানের আঘাতে হতাহতের এ তথ্য জানানো হয়।

নিহতদের মধ্যে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবী সৈয়দ শাহ আলম (৫৪), গলাচিপার পানপট্টির রাশেদ (৫), ভোলার চরকচ্ছারিয়ার মো. সিদ্দিক, রোবরহানউদ্দিনের রফিকুল ইসলাম (৩৫), পিরোজপুর মঠবাড়িয়ার দাউদখালি উপজেলার শাহাজান মোল্লা (৫৫), চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের ২ নং পৌরসভার সালাউদ্দিন (১৬)।

এছাড়াও অজ্ঞাত নিহতদের তালিকায় কমলনগরের ১ জন, যশোরের চৌগাছায় ২ জন এবং ঝিনাইদহে ১ জন রয়েছে।

নিহতরা নৌকা ও ট্রলার ডুবি, গাছ চাপা পড়ে, দেয়াল চাপা পড়ে এবং পানিতে ডুবে মারা গেছেন।

আহতদের মধ্যে বরিশালের হিজলা, পটুয়াখালীর গলাচিপা ও ভোলার চরফ্যাশনের একজন করে।

এদিকে ‘আম্পান’ এখন স্থল নিম্নচাপের রূপ নিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থান করছে। দেশের সমুদ্র বন্ধরগুলোকে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ বাংলাদেশ উপকূলের কাছাকাছি চলে আসার পর বুধবার সকালে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরেও ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছিল বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস।

আম্পানআহতঘূর্ণিঝড়