ঘরের মাঠে বাংলাদেশই ‘সেরা’

খেলতে আসা পাঁচ দলের সবাই র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে। দলগুলোর মধ্যে আবার সবচেয়ে নিচে যারা, সেই আরব আমিরাতের চেয়েও বাংলাদেশ পিছিয়ে সাত ধাপ। কিন্তু বয়সভিত্তিক পর্যায়ে র‍্যাঙ্কিং দিয়ে বিচার করা হলে যে বোকামি হবে, সেটা চোখে আঙুল দিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরাই প্রমাণ করেছে বেশ কয়বার। তাই র‍্যাঙ্কিং দিয়ে নিজেদের জাহির করতে চাইলেন না সফরকারী দেশগুলোর কোচেরা। বরং বেশিরভাগ কোচই এক বাক্যে স্বীকার করে নিলেন স্বাগতিকদের শ্রেষ্ঠত্ব!

ছয় জাতির বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর কোচ ও দলের সদস্যরা। তাদের দিকে বেশিরভাগ সময় প্রশ্ন ছুটল, বাংলাদেশের টুর্নামেন্টে কে ফেভারিট? জবাবে কেউ হাঁটলেন সোজাসাপ্টা, কেউবা হলেন কৌশলী!

সোমবার স্বাগতিক বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতের ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ গোল্ড কাপের। অতীতে বয়সভিত্তিকে লাল-সবুজ মেয়েদের কাছে পাত্তাই পায়নি আরব দেশটি। সবশেষ ম্যাচের ফলটা একপেশে ভাবে জিতে নিয়েছিল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বে ৭-০ ব্যবধানে স্রেফ উড়ে গিয়েছিল আরব দেশের মেয়েরা!

সেই ম্যাচটার স্মৃতি মাথাতেই আনতে চাইলেন না কোচ হুরাইরা আলতাহরি। বাংলাদেশের প্রতি শ্রদ্ধা রাখলেও সোজাসাপ্টা বললেন তার মেয়েরাও সেরা, ‘বলতে দ্বিধা নেই যে বাংলাদেশ শক্তিশালী। কিন্তু এরপরও বলবো আমরাই ফেভারিট।’

ছয় দল দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলবে টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশ আছে ‘বি’ গ্রুপে। আরব আমিরাত ছাড়াও স্বাগতিকদের সঙ্গী কিরগিজস্থান। ‘এ’ গ্রুপে একে অপরের বিপক্ষে খেলবে তাজিকিস্তান, লাওস ও মঙ্গোলিয়া।

আরব আমিরাতের পাশাপাশি কিরগিজস্তানের বিপক্ষেও সুখস্মৃতি আছে বাংলাদেশের। তিন বছর আগে প্রায় এই দলটাকেই ১০-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। সেই দলের কোচও অভিজ্ঞতায় এগিয়ে রাখলেন স্বাগতিকদেরকেই, ‘এই দলটা(বাংলাদেশ) অনেক ম্যাচ খেলেছে। বেশ অভিজ্ঞ। তবে খেলা শুরু হোক। মাঠের খেলায় প্রমাণ হবে কে আসল ফেভারিট!’

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দললিড স্পোর্টস