করোনাভাইরাস -এর এই দুঃসময়ে নানা অনিশ্চয়তার মধ্যে মানুষ। প্রায় সবাই ঘরবন্দি। অনেককে বাসায় বসে করতে হচ্ছে অফিসের কাজ। বাইরে বের হতে না পারায় বিরাট সংখ্যক মানুষের মানসিক অবস্থা পরিবর্তনের কথাও বলছেন চিকিৎসকরা। পরামর্শ দিচ্ছেন, ঘরবন্দির এই সময়টাকে প্রিয় কিছুর সান্নিধ্যে উদযাপন করতে।
ঘরবন্দি, বিষয়টিতে অভ্যস্ত নয় দেশের মানুষ। এদিকে মরণব্যাধী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এটাই এখন একমাত্র করণীয়। যেহেতু ঘরে বসেই কাটাতে হচ্ছে পুরো সময়, তাই কাজের বাইরে ঘরে থাকার এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে পারেন দেশ বিদেশের সিনেমা, নাটক কিংবা ওয়েব সিরিজ দেখে। পড়তে পারেন প্রিয় লেখকের বইও। এতে মন যেমন প্রফুল্ল হবে, তেমনি সময়ও কেটে যাবে আনন্দে।
নির্মাতা, সংগীতশিল্পী মাসুদ হাসান চ্যানেল আই অনলাইনকে জানালেন তার প্রিয় পাঁচ সিনেমার নাম। করোনার কারণে তার পরিচালনায় প্রথম সিনেমা ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ও মুক্তি পিছিয়ে গেছে। এই দুঃসময়ে তিনি নিজেও ঘরে বসেই দিন যাপন করছেন। কাজের ফাঁকে দেখছেন সিনেমা, শুনছেন গান।
করোনার এই সময়ে নির্মাতার পছন্দের সিনেমাগুলোর সঙ্গে নিজের তালিকা মিলিয়ে দেখতে পারেন। এরমধ্যে কোনো সিনেমা দেখে না থাকলে করোনার এই বিষাদগ্রস্ত দিনগুলোতে ঘরে বসে দেখে নিতে পারেন:
দ্য পিয়ানিস্ট:
রোমান পোলানস্কি পরিচালিত অস্কারজয়ী চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০০২ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন অ্যাড্রিয়েন ব্রডি।
গ্লোমি সানডে:
হাঙ্গেরীয় আত্মহত্যার গান হিসেবে পরিচিত ‘গ্লোমি সানডে’। কিংবদন্তি আছে, এই গান শুনে অন্তত একশোর বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেছেন। গানটিকে ভিত্তি করে ইহুদিদের উপর নাৎসিদের অত্যাচার এবং একটি ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী নিয়ে একই নামে ১৯৯৯ সালে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন পরিচালক রলফ সুবল।
পারফিউম:
লোমহর্ষক গল্পের ছবি বলা হয় এটিকে। প্যাটরিক সাসকাইন্ডের উপন্যাস ‘পারফিউম’ অবলম্বনে টম টাইকার নির্মাণ করেন এটি। কেন্দ্রীয় গ্রেনুইল চরিত্রে অভিনয় করেন বেন হইশো। ছবিটি মুক্তি পায় ২০০৬ সালে।
দ্য রিডার:
স্টিফেন ডালড্রি পরিচালিত প্রশংসিত ছবি ‘দ্য রিডার’। ছবিটি মুক্তি পায় ২০০৮ সালে।
জ্যাকব দ্য লায়ার:
আমেরিকান ওয়ার ড্রামা নির্ভর এই ছবিটি পরিচালনা করেন পিটার কেসোভিজ। যা ১৯৯৯ সালে মুক্তি পায়: