বেতন কেটে দেউলিয়াত্ব থেকে বাঁচানো হবে ক্লাবকে, এমন দোহাই দিয়েও বেতন কম নিতে রাজি করানো যায়নি বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের। বুধবার খেলোয়াড়দের প্রতিনিধির সঙ্গে ক্লাব কর্মকর্তাদের আলোচনা গেছে ভেস্তে।
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে ২০২০-২১ মৌসুমে অন্তত ৩০০ মিলিয়ন ইউরো সাশ্রয় করতে হবে বার্সেলোনাকে। নয়ত দেউলিয়া ঘোষণা করা হবে ক্লাবকে।
ক্লাবকে বাঁচাতে তাই খেলোয়াড়দের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট কার্লেস টেসকুয়েটস। ৩০ শতাংশ হারে বেতন কেটে সবমিলিয়ে ১৯১ মিলিয়ন ইউরো সাশ্রয়ের ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
টেসকুয়েটসের আশা ছিল ক্লাবকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবেন খেলোয়াড়রা। বেতন কমাতে মেসিরা ইতিবাচক বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কিছুদিন আগে। বাস্তবে দৃশ্যটা দেখা যাচ্ছে উল্টো। বুধবার বার্সা এবং খেলোয়াড়দের মধ্য আলোচনা কোনরকম ঐক্যমত্য ছাড়াই শেষ হয়েছে।
‘গত কয়েকদিনের একাধিক দুশ্চিন্তার আলোচনা-বৈঠকের পর ১১ নভেম্বর কোনো ঐক্যমত্য ছাড়াই দুই পক্ষের আলোচনা শেষ হয়েছে’ বুধবার এক বিবৃতিতে এমন জানিয়েছে বার্সা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একটি ঐক্যমত্যে আসতে খেলোয়াড়দের ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
অধিনায়ক লিওনেল মেসিসহ সব খেলোয়াড়ের বেতন ৩০ শতাংশ হারে কমাতে চেষ্টা চালাচ্ছে বার্সেলোনা। খরচ কমাতে এরইমধ্যে লুইস সুয়ারেজ, ইভান রাকিটিচ এবং আর্তুরো ভিদালকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নিজেদের বেতন কমাতে অবশ্য মোটেও ইচ্ছুক নন মেসিরা। সেটা বুধবারই টের পেয়েছে বার্সা।