‘ক্রিকেট বড্ড একঘেয়ে!’

তার কাছে প্রশ্ন ছিল, বাংলাদেশে ক্রিকেট সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। এমন জনপ্রিয় খেলাকে পেছনে ঠেলে কী করে ফুটবল হারানো গৌরব ফিরে পাবে? জবাবে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো যেন বোম ফাটালেন! বললেন, তার চোখে এখনও বাংলাদেশের জনপ্রিয় খেলাটির নাম ফুটবল!

‘আমি মনে করি ক্রিকেট এদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা নয়। ক্রিকেট সবাই বোঝে না। কিন্তু ফুটবলটা বোঝা খুবই সহজ। আপনি খেলবেন, গোল করবেন, উপভোগ করবেন। ফুটবল বিশ্বজুড়ে। সব দেশেই ফুটবল খেলা হয়। খেলাটা সবার হৃদয়ে। আমি নিজেও ক্রিকেট খেলাটা খুব একটা ভালো বুঝি না।’

‘হয়তো এই দেশ ক্রিকেটে খুব ভালো করছে। তবে মাত্র কয়েকটা দেশ ক্রিকেট খেলে। হয়তো ১১টা দেশ। যখন মাত্র অল্প কয়েকটা দেশ একটা খেলা খেলবে তখন আপনার উঁচুতে থাকা সহজ হবে। কিন্তু ফুটবল খেলাটা বেশ কঠিন। এখানে যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আমরা সবাই প্রতিযোগি। বাংলাদেশেরও লড়াইয়ের মানসিকতা আছে। ক্রিকেটে ১১টা দেশ মিলে কেবল একটি দলই চ্যাম্পিয়ন হয়। আর ফুটবলে ২১১ দল মিলে একটি চ্যাম্পিয়ন। তাই বলে এমন নয় যে ২১০টি দলই খারাপ। এর মানে হচ্ছে ২১০টা দলই চায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে।’

বৃহস্পতিবার একদিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তার একদিন আগেই শক্তিশালী ভারতকে তাদের মাটিতেই ১-১ গোলে রুখে দিয়ে দেশের মানুষকে উচ্ছ্বাসে ভাসিয়েছেন জামাল ভূঁইয়া-সাদ উদ্দিনরা। তার একদিন পর ঢাকায় পা দিলেও ঠিকই উচ্ছ্বাসটা টের পেয়েছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট।

‘ভারত ম্যাচের পর এখানে যে উন্মাদনা আমি দেখতে পাচ্ছি, সেটা ঠিক থাকলে একদিন সর্বোচ্চ স্তরে বাংলাদেশের লড়াইয়ের সুযোগ আছে। আর সেখানে ক্রিকেটের কোনো সুযোগই নেই।’

‘আমরা চাই ফুটবলে আরও বেশি করে বিনিয়োগ আসুক। জানি না এখানে সরকার, ফেডারেশন কিংবা ব্যবসায়ীরা কত বিনিয়োগ করে থাকে। বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে গেলে এখানে খেলাই বন্ধ হয়ে যাবে। আর তখনই দর্শক ক্রিকেটে মনোযোগী হয়ে যাবে। হতে পারে ক্রিকেট খুব আনন্দ দেয়। কিন্তু ফুটবলের চেয়ে বেশি নয়। ক্রিকেট হচ্ছে খুব একঘেয়ে একটা খেলা। কিন্তু ফুটবল আকর্ষণীয় খেলা, তবে যদি আপনি খেলার সুযোগ পান। আর সেজন্যই আমরা চাচ্ছি খেলার সুযোগ বাড়াতে। এজন্য আমরা বিশ্বকাপে দল বাড়িয়েছি। ক্লাব বিশ্বকাপ করেছি। হয়তো বাংলাদেশেরই কোনো এক ক্লাব একদিন ক্লাব বিশ্বকাপে খেলবে।’

জিয়ান্নি ইনফান্তিনোফিফা প্রেসিডেন্টলিড স্পোর্টস