কেন উদ্যোক্তা দিবস ঘোষণা ও পালন করা উচিত

বাংলাদেশে আজ বেগবান গতিতে উন্নয়নের চাকা সচল রয়েছে। ইতোমধ্যে দেখা যাচ্ছে জাতীয় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের গতি চলতি অর্থবছরে প্রায় ৭.২৮% দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতির হারও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে এ কারণে যে, এটি ৬%-এর নিচে।

অন্যদিকে মাথাপিছু আয় হচ্ছে প্রায় ১৭৩০ মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। এটি অবশ্যই সরকারের সাফল্য। সরকার শিক্ষাকে কর্মমুখী ও বৃত্তিমূলক করতে চাচ্ছে। তবে আমাদের দেশে একটি সমস্যা আছে- জনসংখ্যার আধিক্য। অধুনা উন্নত বিশ্বে একটি শব্দ তারা উচ্চারণ করে, আর তা হচ্ছে- ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ (Demographic Dividend)।

দেশে উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে আমরা ডেমোগ্রাফিক ভিডিডেন্ড পেতে পারি। আমাদের দেশে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট পেতে হলে ন্যূনতপক্ষে ৩/৪ কোটি লোক নতুন করে বিদেশের চাহিদা অনুযায়ী সে দেশে কর্মসংস্থানের জন্য যেতে হবে। আর তারা যদি ব্লু কলার লেবার কিংবা হোয়াইট কলার লেবার হিসেবে যায় তবে দেশের জন্য ‘ডায়াসপারা তত্ত্ব’ (Diaspora Theory) অনুসারে তিনদিক দিয়ে লাভ হবে। বাংলাদেশের প্রবাসীরা দেশের মানমর্যাদা বৃদ্ধি করতে পারবে; তারা যদি ভাল কাজ করে তবে কানেটিং হার হিসেবে এদেশের পণ্য সেদেশে রফতানির জন্য অর্ডার আনতে পারবে; তৃতীয়ত: তারা দেশে কেবল অর্থ পাঠাবে না, বরং তাদের স্থলে মানুষ চাকরির নতুন সুযোগ দেশে পাবে। দেশে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য উদ্যোক্তা দিবস ঘোষণা ও পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।

গত সাড়ে নয় বছরে সরকারপ্রধানের দিকনির্দেশনায় নানামুখী উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শিক্ষার ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে। দেশে স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকদের মানসম্পন্ন করার প্রয়াস নেয়া হয়েছে। তবে এমসিকিউ পদ্ধতি বিএনপি আমলে প্রবর্তন করে দেশে ইনফ্লেটেড রেইটে গ্রেডিং বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এটি অবশ্য বর্তমান সরকার ধীরে ধীরে এমসিকিউ পদ্ধতি তুলে দেবে বলে আশা করা যাচ্ছে। নির্বাচনী বছর হওয়ায় শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে এমসিকিউ যে নেতিবাচক প্রভাব রাখছে সে ব্যাপারে কোন কার্যকর পদ্ধতি সঙ্গত কারণে গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। নিশ্চয়ই কোন অভিভাবক চাইবেন না তার ছেলে-মেয়ে মুখস্থ করে খুব ভাল গ্রেড নিয়ে বেরিয়ে বেকার থাকুক; যেহেতু সে কোন কিছুই লজিক্যালি করতে পারছে না।পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মেমোরাইজার হচ্ছে ফটোকপিয়ার। এমসিকিউ চালু করে মুখস্থ বিদ্যার ওপর জোর দিয়ে বিএনপি আমলে সাড়ে সর্বনাশ করে দিয়ে গেছে। আসলে বিএনপি-জামায়াত দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অধ্যয়নকে গুরুত্ব না দিয়ে ধর্মব্যবসায়ী হিসেবে কাজ করতে চেয়েছে। তাদের প্রেতাত্মারা বিভিন্ন বিদ্যালয়ে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির-ছাত্রদলের ক্যাডারের পাশাপাশি হুজি, নব্য জেএমবি তৈরি করার অপপ্রয়াস গ্রহণ করেছিল বলে পত্রিকান্তরে দেখা যায়। এক্ষণে যে তাদের এ অপপ্রয়াস বন্ধ হয়েছে তা কিন্তু নয়, তবে তারা বর্ণচোরার মতো নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।

একটি উদাহরণ দেই। সম্প্রতি কোটা পদ্ধতি নিয়ে আন্দোলন হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে বিএনপি-জাময়াত গ্রুপটি এত সুচতুর যে, রাজাকার লিখে গুটিকয়েক আন্দোলনে অংশ নিতে যায়। হে অর্বচীন! সে জানে না রাজাকার শব্দের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কি অর্থ দাঁড়ায়। রাজাকারের মূল উৎসের দরকার নেই। বরং আমি দাবি রাখব বাংলা একাডেমির কাছে ‘রাজাকার’ শব্দটি বাংলা শব্দ হিসেবে বাংলা অভিধানে অন্তর্ভুক্ত করে দেশদ্রোহী, নারী ধর্ষণকারী, মানুষ হত্যাকারী ও মানুষকে নানাভাবে কেবল বিপন্ন নয়, বরং পরসম্পদ লুণ্ঠনকারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে। এ ব্যাপারে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ‘বাংলা থেকে বাংলা’ অভিধানে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানাচ্ছি। নচেৎ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রাজাকারদের অত্যাচারের ইতিহাস ভুলে যেতে পারে।

কানাডায় যেখানে মোট জনসংখ্যা ৩.৬৪ কোটি লোক সেখানে বাংলাদেশে প্রি-প্রাইমারি থেকে টারশিয়ারি লেভেল পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা হচ্ছে ৪ কোটি। এত বিপুলসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীর জন্য দেশে উপযুক্ত কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব কিনা সেটি কেবল বিবেকবান মানুষের ওপর ছেড়ে দিলাম। তবে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সরকারপ্রধানের নির্দেশে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যেগুলো বাস্তবায়ন যত দ্রুত হবে তত দেশের মঙ্গল।

ক. আধুনিক Outcome based teaching learning অনুযায়ী স্টুডেন্ট সেন্ট্রিক এডুকেশন চালু করা বাঞ্ছনীয় এবং এ শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ও কর্ম উপযোগী শিক্ষা। এ শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটাতে হবে।

খ. শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণীত হলেও এটি বাস্তবায়নের জন্য আইনটি চাপা পড়ে আছে। এটি দ্রুত আলোর মুখ দেখা দরকার।

গ. দেশে এখন পর্যন্ত ন্যাশনাল এডুকেশনাল ফ্রেমওয়ার্ক গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি, ন্যাশনাল এডুকেশনাল ফ্রেমওয়ার্ক দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত।

ঘ. এক্রেডেন্সিয়াল কাউন্সিল (Accredential council) আইনটি-২০১৭ সালে জাতীয় সংসদে পাস হলেও এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা যায়নি। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার।

ঙ. ইউজিসির মানমর্যাদা বৃদ্ধির জন্য বলা হলেও এটি এখনও যে তিমিরে ছিল তিমিরেই পড়ে আছে। দ্রুত ইউজিসির মানমর্যাদা বৃদ্ধিকরণ ও লোকবল বাড়াতে হবে।

চ. আইকিউসি প্রকল্পটি চলতি বছরে শেষ হয়ে গেলে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নকল্পে এ দেশের উপযোগী বিকল্প কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে।

ছ. দেশে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষক তৈরির মাধ্যমে Capacity Build up করা।

সরকার দেশে তরুণ সমাজের চাকরির জন্য কতটুকু আন্তরিক তা বোঝা যায়। স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পাঁচ লাখ দুই হাজার জনকে দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এটি একটি ভাল উদ্যোগ। প্রশিক্ষণ প্রদানকারী সংস্থাসমূহের মধ্যে রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন নয়টি টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ, প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ২২টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড টেকনেক্যিাল এ্যাসিসটেন্ট সেন্টার, শিল্প সংস্থার অধীনে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বেসিস, বিএসিআই, বিটিএমএ, বিইআইওএ, এইওসিবি, এলএফএমইএবি, বাক্কো, বাপা।

তাছাড়া রয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন যুব উন্নয়ন অধিদফতর, বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই বিভাগ ও পিকেএসএফের আউটসোর্সকৃত প্রতিষ্ঠানসমূহ। তবে একটি গবেষণা করতে গিয়ে অবাক হয়েছি। দেশে উচ্চশিক্ষিত লোকের কোন অভাব না থাকলেও দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য প্রশিক্ষকের দারুণ অভাব রয়েছে। এ শূন্যতা পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্স যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত প্রতিষ্ঠান, দুটো কার্যক্রম পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট এবং মাস্টার্স ইন ইকোনমিক্স (এন্টারপ্রিউনিউরশিপ ইকোনমিক্স) ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের নেতৃত্বে চালু করা হয়েছে।এক্ষণে গুণগত মানসম্পন্ন প্রশিক্ষক তৈরির জন্য ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সকে কাজ লাগানোর জন্য যারা সেইপ প্রকল্পের আওতায় মানবসম্পদ তৈরি করবেন তাদের উপযুক্ত শিক্ষা ও শিল্পবান্ধব পরিবেশে প্রশিক্ষণ দরকার। এ ব্যাপারে ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্স সব সময় সচেতন। মডিউল এমনভাবে তৈরি হয়েছে যাতে বাস্তব শিক্ষা-তাত্ত্বিক শিক্ষা ও নিজের পায়ে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পায়। গবেষণার একটি অদ্ভুত তথ্য উঠে এসেছে দেশে অনেকেই উদ্যোক্তা তৈরির নাম করে বিদেশ থেকে অর্থ এনে তা বিভিন্ন কনফারেন্স সেমিনার ও বিদেশ ভ্রমণে খরচ করে ফেলছে। আবার শিল্প সম্পর্কিত জ্ঞান নেই, এমনকি উদ্যোক্তা কিভাবে হওয়া যায় সে সম্পর্কেও কোন জ্ঞান নেই অথচ উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণের নামে বিভিন্ন বেসরকারী স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ফলে দেখা যাচ্ছে এখন পর্যন্ত প্রচুর উদ্বৃত্ত চাকরিপ্রার্থী থাকলেও (বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী ২.৬ মিলিয়নের বেশি লোক) আসলে যোগ্য লোকের একান্ত অভাব।

এজন্যই বাংলাদেশের বিভিন্ন কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে বিদেশী যুবক-যুবতীরা কাজ করছে। এটি কিন্তু আমাদের যুব সমাজ করতে পারত, তবে তাদের শিক্ষা পদ্ধতিতে বাস্তব জ্ঞান ও নিজের পায়ে দাঁড়ানোর শক্তি নেই। এর কারণে যেভাবে শিক্ষা দিচ্ছে তা সম্পূর্ণ অসম্পূর্ণ। ধরুন, একজন ফাইন্যান্স গ্র্যাজুয়েট সে কিন্তু কোন ল্যাবে দীর্ঘদিন লেনদেনের শিক্ষার সুযোগ পায়নি। আবার অধিকাংশ পাঠ্যক্রম এমনভাবে তৈরি যাতে বিজনেস গ্র্যাজুয়েট বিজনেস ইনকিউবেটারে প্র্যাকটিক্যালি শিক্ষার সুযোগ পাননি। কেবল মুখস্থ বিদ্যার দ্বারা আর যাই হোক নিজের ভেতরের শিক্ষার আলোর স্ফুরণ ঘটানো সম্ভব হচ্ছে না। অথচ এ ধরনের শিক্ষা আমরা শিক্ষকদেরই নতুন করে বাস্তবমুখী ভাবনার স্ফুরণ ঘটানোর মতো পাঠ্যক্রম তৈরি করতে হবে।

দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণের হার হচ্ছে যেখানে মাত্র ১০%, সেখানে বিদেশে হচ্ছে ৪৩%। এই যে সামাজিক ট্যাবু, যা কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণ থেকে বিরত রাখছে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এক্ষণে উদ্যোক্তা শ্রেণীর শিক্ষার জন্য বিদেশের মতো দেশেও ব্যাপক প্রচলন দরকার।

এজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও বেশি আগ্রহী হতে হবে। উদ্যোক্তা অর্থনীতি কেবল সামাজিক, মানবিক, ব্যবসা-বাণিজ্য অনুষদের অধীনে না রেখে বিজ্ঞান অনুষদের আওতায়ও আনতে হবে। একজন উদ্যোক্তা যে কোন ডিসিপ্লিন থেকে আসতে পারে তবে, এর জন্য চাই দৃঢ়চেতা মনোবল। আমাদের দেশের যুবক-যুবতীদের মান উন্নত হলেও তাদের আলো দেখানো হলে তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে।

সরকারপ্রধান বহুদিন ধরে উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলার প্রয়াস নিতে নির্দেশনা দিচ্ছেন। এটি বাস্তবায়নের জন্য দেশেই এখন ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্স এগিয়ে এসেছে। এক্ষণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচিত ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের মাধ্যমে ক্যাপাসিটি বিল্ড আপ করা। অথচ আশ্চর্য, বাংলাদেশ ব্যাংক ২৪-২৫ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশে মানবসম্পদ তৈরির নাম করে মাস্টার্স করতে পাঠায়, যা স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও এক ধরনের বিদেশপ্রীতি।

উপযুক্ত শিক্ষক দেশে তৈরি করে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ বাড়াতে হবে। আবার ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সে স্নাতক পর্যায়ে উদ্যোক্তা অর্থনীতি এবং পিএইচডি দেয়ার কার্যক্রম চালুর ব্যবস্থা নিতে হবে।

সম্প্রতি বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের সঙ্গে ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আশা করা যায়, উপযুক্ত উদ্যোক্তা অর্থনীতিবিদ তৈরিতে সহায়তা করবে।

যেহেতু শেখ হাসিনা মায়ের মমতা দিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন, তার কাছে বিনীত আবেদন করব, প্রতিবছরের একটি দিনকে উদ্যোক্তা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার ও তা পালনের মাধ্যমে উদ্যোক্তা উন্নয়নে শিক্ষা-প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দেয়ার।

(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)

মাথাপিছু আয়