কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম হস্তান্তর

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপারসহ প্রয়োজনীয় নির্বাচনী সরঞ্জাম প্রতি কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে মালামাল পাঠিয়ে দিয়েছেন।

সাভার, মেহেরপুর, জামালপুর, ঝালকাঠি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাজীপুর, কুমিল্লা, বরিশাল, মাদারীপুর, শেরপুর, রাজবাড়ী, খুলনা, নাটোর, নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলার কেন্দ্রগুলোতে প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে মালামালগুলো বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ভোটের সরঞ্জাম বিতরণ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রিজাইডিং অফিসাররা এসব সরঞ্জাম গ্রহণ করছেন। পর্যাপ্ত নিরাপত্তায় গাড়িতে করে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভোট গ্রহণের সরঞ্জামাদি।

সাভার উপজেলার ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে সাভারের ঐহিত্যবাহী অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন সাভার উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শেখ রাসেল হাসান।

সকাল ১০ টা থেকে মেহেরপুর সদর উপজেলা অফিস থেকে নির্বাচনের সরঞ্জাম বিতরণ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারর মেহেরপুর সদর উপজেলা অফিসে এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল আলমের হাত থেকে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম বুঝে নিচ্ছেন। দুপুরের মধ্যে এসব সরঞ্জাম বিতরণ শেষ হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

জামালপুর জেলার ৫টি সংসদীয় আসনে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়েছে। সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে জেলার ৫টি নির্বাচনী আসনের ৫৮১টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স, অমোচনীয় কালিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম কড়া নিরাপত্তায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

ঝালকাঠি জেলার ২৩৭ ভোট কেন্দ্রে পাঠানো শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণের ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সরঞ্জামাদি। আজ শনিবার সকাল ১১টায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. আতাহার মিয়া প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে মালামালগুলো বুঝিয়ে দেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনের ৭৩৩ টি ভোট কেন্দ্র নির্বাচনের সরঞ্জাম পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। সকাল থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণের কাজ শুরু হয়। প্রতিটি কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে ব্যালট বক্স ও ব্যালট পেপারসহ যাবতীয় সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।

উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে গাজীপুরে
পাঁচটি সংসদীয় আসনের ৯২২টি কেন্দ্রে ব্যালটপেপার, ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে ভোট গ্রহণের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ,আনসারসদস্যসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের স্ব স্ব দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ প্রশাসনের ১১ হাজার ২১৮ জন সদস্য ভোটের দিন তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। গাজীপুরের পাঁচ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৪১১জন।

শনিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা চত্বরে প্রিজাইডিং অফিসারের হাতে নির্বাচনী উপকরণ তুলে দেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলমগীর হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার কায়ছার মোহাম্মদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা বেগম, তাহমিনা আফরোজ ভূঁইয়াসহ সংশ্লিষ্টরা।

কুমিল্লার ১১ টি আসনের ১৭টি উপজলোয় ১৩শ ১৮টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সামগ্রী পৌঁছানোর কাজ চলছে। সকাল ১০টা থেকে কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে সদর আসনের সকল কেন্দ্রসহ প্রত্যেক উপজেলা থেকে ভোট কেন্দ্রসমূহে এসব সামগ্রী পৌছানো হচ্ছে। কুমিল্লা জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন সকল প্রস্তুতি ভাল ভাবে সম্পন্ন হওয়ার পথে রয়েছে।

বরিশাল জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের ৮০৫টি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ব্যালট পেপার, ব্যালট বক্স সহ যাবতীয় নির্বাচনী সরঞ্জাম। আজ শনিবার সকাল ১১টার পর থেকে জেলার ১০ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে স্ব-স্ব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা নির্বাচনী সামগ্রী বুঝে নেন। এরপর পরই তারা নিরাপত্তা বাহিনীসহ কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।

নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মাদারীপুর জেলা প্রশাসন। প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ও বাক্স পৌঁছে দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে জেলার সকল কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ও বাক্স পৌঁছে যাবে।

শেরপুরে তিনটি আসনের ব্যালট পেপার, ভোট বাক্স সহ নির্বাচনী মালামাল নিয়ে ২৯ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে ভোটকেন্দ্রের পথে রওনা হয়েছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা। সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কেন্দ্রগুলোর প্রিজাইডিং অফিসার ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার কাছে এসব নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ করা হয়। পরে কড়া নিরাপত্তায় ভোটকেন্দ্রে এসব নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো হয়।

রাজবাড়ী জেলার ৩১২টি ভোট কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ,ব্যালট পেপার সহ নির্বাচনী সকল ধরনের সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। শনিবার সকাল থেকে উপজেলাগুলোর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা ভোট গ্রহণের জন্য তাদের নির্বাচনী সকল সরঞ্জাম পাঠাচ্ছেন।

খুলনায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের জন্য ব্যালট বক্স, ব্যালট পেপার, কালি-কলমসহ বিভিন্ন প্রকার নির্বাচন সরঞ্জাম বিতরণ সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার দুপুর ১২টা থেকে থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত এসব সরঞ্জাম প্রিজাইডিং অফিসারের নেতৃত্বে পুলিশ-আনসার সমন্বয়ে প্রতিটি কেন্দ্রের টিমের কাছে বিতরণ করা হয়।

নাটোর সদর উপজেলার ভোট কেন্দ্রগুলোর প্রিজাইডিং অফিসার ও দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে ব্যালট পেপার সহ নির্বাচন সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১২ টার দিকে সদর উপজেলার ভোট কেন্দ্রগুলোর প্রিজাইডিং অফিসার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আকতার বানু এসব সামগ্রী হস্তান্তর করেন। এ সময় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী জালাল উদ্দিন সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

নড়াইলের দুটি আসনের ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি। নড়াইল-১ ও নড়াইল-২ আসনের ২৪২টি ভোটকেন্দ্রে এসব নির্বাচন সামগ্রী পাঠানো হয়। সকাল থেকে নড়াইল সদর, লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে স্ব-স্ব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের মাধ্যমে ব্যালট পেপার,ব্যালট বাক্স ,সিলসহ বিভিন্ন নির্বাচনী সরঞ্জামাদি ভোটকেন্দ্রে পৌঁছানোর কাজ শুরু হয়। এই দুই আসনে মোট ভোটার রয়েছে ৫ লাখ ৫৬ হাজার ১৮জন।

উৎসবমুখর পরিবেশে রাজশাহীতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিভিন্ন শহর ও উপজেলার সবগুলো কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। সমন্বিতভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিয়ে নিজেদের কেন্দ্রে যাচ্ছেন প্রিজাইডিং অফিসাররা। রাজশাহীর রাস্তায় রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরতিহীন টহল চলছে। আর টহলের পাশাপাশি স্পর্শকাতর জায়গায় সাময়িক চেকপোস্ট বসিয়েছে সেনাবাহিনী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবী, নাশকতা ও নির্বাচনী পরিবেশন সুষ্ঠু রাখতে সব ধরণের কাজ করে যাচ্ছেন তারা।

কক্সবাজারের চারটি সংসদীয় আসনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করা জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা প্রশাসনও জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়। শনিবার সকাল থেকে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে জেলার ৫১৩টি ভোট কেন্দ্রে ব্যালট, ব্যালট বাক্স সহ নির্বাচনী সামগ্রী কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে ভোট কেন্দ্রের স্ব-স্ব প্রিজাইডিং অফিসারেরা এসব নির্বাচনী সামগ্রী বুঝে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে রওনা দেন। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলা ৩০ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ৬ প্লাটুন নৌবাহিনী, ৪৮ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং ৮৬জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও উপকূলীয় এলাকায় থাকবে কোষ্টগার্ড।

আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর রোববার সকাল আটটায় শুরু হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। বিকেল চারটা পর্যন্ত চলবে ভোট।

একাদশ জাতীয় নির্বাচননির্বাচনী সরঞ্জাম