খুচরা পর্যায়ে আলুর দর পুনরায় নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। ৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজি আলুর নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি আলুর দাম হিমাগার পর্যায়ে ২৭ টাকা এবং পাইকারি বাজারে ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগামীকাল বুধবার থেকে নতুন এই দরে আলু বিক্রি করতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর খামার বাড়িতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরে ব্যবসায়ীদের সথে বৈঠক করে পুনরায় নতুন এই দর নির্ধারণ করেছে সরকার।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্ত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সংশিলষ্ট কর্মকর্তারা। এছাড়িা উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
বৈঠকে বলা হয়েছে, আগামী মৌসুমে যখন নতুন আলু বাজারে আসবে তখন দাম আরো কমবে। দাম বাড়ানো যাবেনা।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর প্রতিকেজি আলুর খুচরামূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল ৩০ টাকা। একই সঙ্গে পাইকারি পর্যায়ে এককেজি আলুর দাম ২৫ ও কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে ২৩ টাকা বেঁধে দিয়েছিল সরকার।
কিন্তু এই দরে আলু বিক্রি করেনি ব্যবসায়ীরা। পাইকারি ও খুচরা বাজারে বাড়তি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটি।
এ কারণে দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্ততর ও প্রশাসনের একাধিক টিম। তাই অভিযান ও জরিমানার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের আলু বেচাকেনা বন্ধ রেখেছেন।
এরপর আজ আবার ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করে দাম পুন:নির্ধারণ করা হয়।
বৈঠকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে এবং কৃষি বিপণন আইন-২০১৮ এর ধারা ৪(ঝ) অনুযায়ী প্রতিকেজি আলুর দাম কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে ২৭ টাকা, পাইকারি বাজারে ৩০ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৩৫ টাকা পুন:নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখিত এই তিন পর্যায়ে নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি নিশ্চিত করার জন্য কঠোর মনিটরিং এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।