কৃষি জমিতে কোনো ইন্ডাস্ট্রি করতে দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী

কৃষক ও কৃষির কল্যাণে কৃষিকে ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে, কৃষি জমি নষ্ট করে কোন স্থাপনা শিল্প কারখানা করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন: কৃষকদের কল্যাণে ইতিমধ্যে ই-কৃষি চালু করেছে সরকার। আমাদের দেশের কৃষকরা এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। কৃষি বিষয়ে যে কোনো সমস্যার সামাধানের জন্য ১৬১২৩ নম্বরে ফোন দিয়ে কৃষি তথ্য পাচ্ছে।

বুধবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ১০ম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন: কৃষক যাতে ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট করতে পারে আমরা সে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ১ কোটি ১ লাখ ৩০৫৩৮ টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সেখানে কৃষকদের সঞ্চয় জমা রয়েছে। তারা প্রয়োজনে টাকা সঞ্চয় ও টাকা তুলতে পারে। ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে হলে আমাদের কৃষক ও কৃষি জমি বাঁচাতে হবে। কৃষি জমি নষ্ট করতে দেয়া হবে না। ফসিল জমিতে কোনো ইন্ডাস্ট্রি করতে দেয়া হবে না।

শেখ হাসিনা বলেন: বিএনপি আমলে সারের জন্য কৃষককে জীবন দিতে হয়েছিল। আওয়ামী লীগে সরকারের আমলে কৃষককে জীবন দিতে হয় না। এখন সার কৃষকের হাতে পৌঁছে যায়। আমরাই কৃষককে ভর্তুকি দেয়া শুরু করি। বিশ্ব ব্যাংক এক সময় আমাদের বলেছিলো কৃষি খাতে ভর্তুকি দেয়া যাবে না। কৃষকদের ভর্তুকি দিলে আমরা টাকা দেব না। আমি বলেছিলাম, আপনাদের টাকা লাগবে না। আমরা আমাদের টাকা দিয়ে কৃষকদের ভর্তুকি দেব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন: গত ১০ বছরে আমরা কৃষকদের ৬৫ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছি। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে কৃষিতে বাজেট ছিল ৭ হাজার কোটি টাকা। আমরা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা বাজেট দিয়েছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন: আমরা দেশের ফসলকে বহুমুখী করতে চাই। এ পর্যন্ত ১০৮টি ধানের জাত আবিষ্কার করতে পেরেছি। আয়রন ও জিংকসমৃদ্ধ চাল উৎপাদন করতে পেরেছি। আমি নিজেও সেই চাল খেয়ে দেখেছি। এছাড়া ৪৪২টি উৎপাদন প্রযুক্তি আমরা উদ্ভাবন করতে পেরেছি।

গৃহহীন-ভূমিহীনদের জন্য গুচ্ছগ্রাম করে দিচ্ছি। যার কিছুই নেই অন্তত আশ্রয়ন প্রকল্পে থাকার জায়গা দিচ্ছি বলেও জানান তিনি। রাজনীতি হচ্ছে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য। নিজেদের ভাগ্য বদলাতে নয়।

কৃষককৃষিপ্রধানমন্ত্রীসম্মেলন