আগাম বন্যায় কুড়িগ্রামের সাত উপজেলার তিন হাজার চারশো ৬১ হেক্টর জমির সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। ডুবে গেছে বীজতলা। নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নেমে যাওয়ার পর ফসল ও রোপা আমন বীজতলা নষ্ট হওয়ায় চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষক।
কয়েকদিন আগে দু’দফা বন্যায় জেলার সাত উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের দেড় শতাধিক চর ও দ্বীপচর প্লাবিত হয়। নিমজ্জিত হয় বিভিন্ন ফসল ও সবজি ক্ষেত। বেশিরভাগ ক্ষেতের ফসল পচে নষ্ট হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষক।
বন্যায় তলিয়ে গিয়ে ফসলের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে জানান স্থানীয় কয়েকজন কৃষক। ক্ষতিগ্রস্থ একজন বলেন, বন্যা হবার কারণে যা পটল, ঝিঙ্গা লাগাইছি এর সব ধ্বংস হয়ে গেছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জেলা সদরসহ রাজারহাট, রৌমারি, চিলমারি, রাজিবপুর, উলিপুর ও নাগেশ্বরী উপজেলার নিম্নাঞ্চল।
এসব এলাকার চিনা বাদাম, পটল, করলা, শশাসহ বিভিন্ন সবজি, পাটক্ষেত ও আমন বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে।
স্থানীয় একজন কৃষক বলেন, যে পয়সা খরচ করে চাষ করছি সেই তুলা দুরের কথা নিজেরই খরচ উঠে না।
বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর কৃষি বিভাগ নতুন করে ফসল আবাদের কথা বললেও সব কৃষকের পক্ষে তা সম্ভব হচ্ছে না।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শওকত আলী সরকার বলেন, যেসব জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেসব জমির জন্য উপযুক্ত ফসল চাষাবাদের জন্য আমরা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
জেলায় বন্যা পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসনের উদ্যোগ না থাকায় হতাশায় দিন কাটছে কৃষকের।