দেশের কারাগারগুলোর ধারণক্ষমতা, কারাবন্দীর সংখ্যা, কারা চিকিৎসকের শূন্য পদ ও কারা চিকিৎসকের সংখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে কারা মহাপরিদর্শককে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
হাইকোর্ট তার রুলে, কারাগারে বন্দীদের আইনগতভাবে মানসম্মত থাকার জায়গা নিশ্চিত করার নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং বন্দীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়াগের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব (সুরক্ষা বিভাগ), স্বাস্থ্য সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও কারা মহাপরিদর্শককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
দেশের কারাগারগুলোতে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বন্দী সংখ্যা বেশি এবং অতি অল্প কারা চিকিৎসক থাকা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিভিন্ন সময় -প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান (রবিন) হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের শুনানির নিয়ে আদালত রুলসহ আদেশ দেন।