লাক্সতারকা মেহজাবীন চৌধুরী নিয়মিত কাজ করেন। সকাল থেকে মধ্যরাত অবধি শুটিং করে আবার সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হয়। এতে করে কিছু সমস্যার পড়তে হয় তাকে। শুধু তাই নয়, সব শিল্পীই এই সমস্যার মুখোমুখি হন। এ বিষয়ে পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন জনপ্রিয় এই তারকা অভিনেত্রী।
নিজের ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে মেহজাবীন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে মেহজাবীন বলেন, আমরা যারা অভিনয় ও পরিচালনার সঙ্গে জড়িত তারা যেন সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০ টা অবধি শুটিং করার যে নিয়মটা আছে সেটা মেইনটেইন করি। এছাড়া যদি আমাকে সকাল ৬ টায় দরকার হয় তাহলে বিকাল ৬ টার মধ্যে আমাকে ছেড়ে দিতে হবে।
আপনারা নিশ্চয় জানেন, অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করাটা মানসিক এবং শারীরিক দুইভাবেই হ্যাম্পার করে আমাদের। এবং পরের দিন যে শিডিউলটি আমি অলরেডি লক করেছি এবং নিজের শতভাগ দেওয়ার কথা দিয়েছি, সেটি আগের দিনের ‘লেট নাইট’-এর জন্য নানা ভাবে হ্যাম্পারড হয়। এতে করে আমার সাথে কাজ করা অন্য ডিরেক্টর, টিম বা কো–আর্টিস্টও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, কাজটি শতভাগ হচ্ছে না একই সঙ্গে, আমরা বেস্ট আউটপুট দিতে পারছি না।
একজন শিল্পীর ঘুমের স্বল্পতা, বিশ্রামের ঘাটতি, অসুস্থতা সবই অন-স্ক্রিনে ধরা পড়ে। একই ব্যাপার ঘটে লাইট ক্রু, প্রোডাকশন টিম, ডিরেক্টরের টিম সবার সাথেই। আমরা সবাই মানুষ এবং একটা মানসিক আর শারিরীক বিশ্রাম প্রয়োজন। মনে রাখবেন, পরের দিন নিজেরদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা আমাদের সবারই সমান থাকে, কিন্তু বিশ্রামের অভাবে সেই চেষ্টা ধীরে ধীরে কমে যায়।
অভিনয় বা পরিচালনা সৃজনশীল কাজ। প্রচন্ড সম্মান আর ভালবাসার যায়গা থেকে, সবটুকু মন দিয়ে এটা করতে হয়। আমি আশা করবো সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রত্যেক দিনের কাজগুলো, অভিজ্ঞতা গুলো আরো বেশি সুন্দর হবে। সবার জন্য শুভ কামনা। আপনাদের সবার মেহ্জাবীন।
মেহজাবীনের দেওয়া এই পোস্টে অনেক তারকাই সম্মতি জানিয়েছেন। অভিনেতা জোভান মেহজাবীনের পোস্টটি শেয়ার করে লিখেছেন, হ্যাঁ, এটাই হওয়া উচিত। প্লিজ। শবনম ফারিয়া, শাহতাজও এই পোস্টটি সম্মতি দিয়ে শেয়ার করেছেন।