কলকাতার উচ্ছ্বাস ফিরবে মাসকাটে?

বাংলাদেশ-ওমান ম্যাচ শুরু রাত ৯টায়

বাংলাদেশ ফুটবলের ঝিমিয়ে পড়া ভাবটা কেটেছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এসে। কলকাতার যুব কল্যাণী স্টেডিয়ামে সবশেষ ম্যাচে দারুণ খেলা বড্ড ঝাঁকুনি দিয়েছে ফুটবলপ্রেমীদের উচ্ছ্বাসের পালে। তরতাজা সেই স্মৃতি নিয়ে জেমি ডের দলের সামনে এবার ‘মিশন ওমান’। কতটুকু প্রস্তুত লাল-সবুজের লড়াকুরা?

২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে গ্রুপ ‘ই’তে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে বৃহস্পতিবার ওমানের মুখোমুখি হবে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা বাংলাদেশ। মাসকাটের সুলতান কাবুস স্পোর্টস স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।

র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৮৩ নম্বর দল বাংলাদেশের চেয়ে ঠিক ১০০ ধাপ উপরে অবস্থান ওমানের। দুই জয় ও এক হারে ছয় পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ টেবিলে দুই নম্বর অবস্থানে দলটি। সেখানে আগের তিন ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট লাল-সবুজদের। নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে হার দেখার পর একটি ড্র এসেছে জামাল ভূঁইয়াদের নামের পাশে। গত মাসে ভারতের বিপক্ষে, তাদেরই মাটিতে। যুব কল্যাণীতে সেই ম্যাচকে নিয়ে উচ্ছ্বাস-আবেগে ভেসে গিয়েছিল বাংলাদেশ-ভারতের দুদেশের বাঙালিরাই।

প্রথম দুম্যাচে হারলেও গ্রুপে পাঁচ দলের মধ্যে র‍্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে নিচে থাকা বাংলাদেশ প্রতিটি খেলায় রেখেছে উন্নতির ছাপ। তাজিকিস্তানের নিরপেক্ষ মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারলেও দ্বিতীয়ার্ধে বলের বেশিরভাগ দখল নিজেদের পায়ে রেখেছিলেন জীবন-জামালরা। পরের ম্যাচে ২০২২ বিশ্বকাপের স্বাগতিক কাতারকেও নাচিয়ে ছেড়েছে লাল-সবুজের ফুটবলাররা। ২-০ গোলে হারা ম্যাচে ভাগ্য সহায় থাকলে নিজেদের মাটিতে জয়টা পেতেও পারতো বাংলাদেশ!

দুই ম্যাচে উন্নতির ফল টের পাওয়া গেছে ভারতের বিপক্ষে। স্টেডিয়ামে উপস্থিত ৬০ হাজার ভারতীয় দর্শকের সামনে তাদেরই রুখে দেন সাদ উদ্দিন। তার গোলে জয়ের খুব কাছে থেকেও শেষপর্যন্ত অবশ্য ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাদেশকে। ড্র হলেও দেশের মানুষকে অনেকদিন বাদে ফুটবলীয় সুখ দিয়েছিলেন জামালরা।

কলকাতার হাজার হাজার ভারতীয়র মাঝে লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়েছিলেন একদল বাংলাদেশি সমর্থক। খুব বেশি না হলেও বৃহস্পতিবার সুলতান কাবুস স্টেডিয়ামে নিজ দেশের প্রবাসীদের কাছে সমর্থন চেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল। প্রতিপক্ষের মাটিতে অল্প একটু সমর্থনই হয়তো ইতিহাস গড়ার পথে বড় আত্মবিশ্বাস যোগাবে তাদের।

লিড স্পোর্টস